শান্তিনিকেতনে পৌষমেলা নিয়ে জট কাটল না এখনও। বিশ্বভারতীর মাঠে পৌষমেলার আয়োজনের ব্যাপারে অনুমতি দেয়নি হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে কার্যত বিশ্বভারতীর কোর্টেই এখন বল। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। বিশ্বভারতীয় ফের বিবে🍰চনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই পৌষমেলার আয়োজন নিয়ে জট ক্র🌠মেই পাকিয়ে ওঠে। পৌষমেলার আয়োজন নিয়ে সম্প্রতি সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছিল বিশ্বভারতী। কিন্তু প𒀰ুলিশ, প্রশাসনের কর্তারা উপস্থিত হলেও সেখানে হাজির হননি উপাচার্য নিজেই। এনিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন অনেকেই। এবার মামলই ফিরিয়ে দিল আদালত। তবে রাজ্যের তরফে বিকল্প ব্যবস্থার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পৌষমেলার জন্য বিশ্বভারতীর মাঠ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্বভারতী। কারণ পরিবেশ আদালতে এর আগেও বিড়াম্বনায় পড়তে হয় বিশ্বভারতীকে। আসলে পরিবেশ রক্ষায় নানা কথা মেনে চলার কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত স্টলের লোকজন তা মানতে চান না বলে অভিযোগ। যার জেরে ভুগতে হয় বিশ্বভারতীকে।এদিকে পৌষমেলায় পরিবেশ দুষণের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেছেন শান্তꦿিনিকেতনের এক বা๊সিন্দা।
তবে রাজ্যের তরফে এবার বিকল্প জায়গার সন্ধান ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। এদিকে বিশ্ব🦹ভারতীর মাঠে পৌষমেলা হলে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন। সেক্ষেত্রে পরিবেশ দুষণের সম্ভাবনাটা থেকেই যায়। এমনটাই দাবি করেন অনেকে। গত বছরেও বিশ্বভারতীয় মাঠে মেলা করা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। শেষে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ ও বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি ডাকবাংলো মাঠে পৌষমেলার আয়োজন করেছিল। রাজ্য সরকারও এক্ষেꦡত্রে সহযোগিতা করেছিল। তবে এবার কী হবে সেটাই দেখার!
এদিকে শান্তিনিকেতনে💦র পৌষমেলা আয়োজনের দিকে তাকিয়ে♓ রয়েছেন বঙ্গবাসী। বাংলার বাইরে থেকেও প্রচুর মানুষ মেলার টানে আসেন বিশ্বভারতীতে। কিন্তু ঠিক কোথায় হবে পৌষমেলা তা নিয়ে সংশয়টা যায়নি এখনও। তবে মেলার আয়োজনের ব্যাপারে অবশ্য় আগেই সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।