আজ, বুধবার আইসিডিএস কর্মীদের মধ্যে একটা ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। একদিন আগেও কোনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। অথচ হঠাৎ করে বদলির নির্দেশ পেয়ে গেলেন কয়েকজন আইসিডিএস কর্মী। সিডিপিও’র অফিস থেকে এভাবে বদলির মৌখিক নির্দেশ পেয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছেন আইসিডিএস কর্মীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি বিধানসভার অন্তর্গত মথুরাপুর–১ নম্বর ব্লকের বেশ কয়েকটি 𝕴আইসিডিএস কেন্দ্রের ১৩ জন কর্মীকে মুখের কথা বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে এমন বদলির নির্দেশ কেমন করে জারি হল? উঠছে প্রশ্ন। আর এই ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ আইসিডিএস কর্মীর📖া।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই ১৩ জন কর্মীকে বদলির কোনও লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বরং লিখিত নির্দেশ চাইলে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই সমস্যায় পড়ে বারবার সিডিপিও, বিডিও’র দরজায় কড়া নাড়লেও কোনও আশার আলো মেলেনি বলে অভিযোগ। তবে ওই আইসিডিএস কর্মীরা চাপ বৃদ্ধি করতে থাকেন। তাই মঙ্গলবা𒉰র বদলির নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আইসিডিএস কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ডায়মন্ডহারবারের মহকুমাশাসক অঞ্জন ঘোষের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল অঙ্গনওয়াড়ি ওয়ার্কার্স অ্যান্ড হেলপার্স ইউনিয়নের’ সদস্যরা। যদিও এমন পদক্ষেপের কারণ এখনও ধোঁয়া🐻শাপূর্ণ।
আরও পড়ুন: সিএবি সভাপতির সঙ্গে একই মঞ্চে কেষ্ট! কী ঘটল সেখানে? তুঙ্গে উঠল রাজনৈতিক বিতর্ক
আইসিডিএস কেন্দ্রগুলি নিজেদের মনে করেই চালান কর্মীরা। সেন্টার পরিচালনা থেকে শুরু করে শিশুদের খাওয়াদাওয়া করানো, প্রসূতিদের সহযোগিতা সব কাজ করেন তাঁরা। এই কাজের ফলেই একটা বড় অংশের মানুষ উপকৃত হন। গ্রামবাংলায় আজও এই আইসিডিএস কর্মীদের উপর অনেকে নির্ভরশীল। তাঁদের দৈনিক রোজের ভিত্তিতে সাম্মানিক দেওয়া হয়। স্থানীয় শিশু ও প্রসূতিদের সহযোগিতা করার জন্য বাড়ির কাছে সেন্টারে দায়িত্ব দেওয়া হয় মহিলা আইসিডিএস কর্মীদের। কিন্তু সেখানে মথুরাপুর ১ নম্বর ব্লকেরꦚ সিডিপিও হঠাৎ একসঙ্গে এতজন কর্মীকে বদলির নির্দেশ দেওয়ায়꧙ বিড়ম্বনায় পড়েছেন তাঁরা।