সত্তরের মাঝামাঝি এবং আশির দশকে বাংলার মাটিতে স্লোগান উঠত—বাংলা মায়ের দামাল ছেলে প্রিয়–সুব্রত জিন্দাবাদ। হ্যাঁ, একজন প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি। অপরজন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এখন দু’জনেই পরলোকগমন করেছেন। তবে একদা তাঁরা যখন কংগ্রেস করতেন তখন এই জুটি রাজনীতির ময়দানে হিট ছিল। পরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্꧑রেꦏসে চলে আসেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মেয়র থেকে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী হিসাবে সফল হন। এটা গেল অতীতের কথা। কিন্তু অতীতের নেতা বলে কি বর্তমান প্রজন্ম সৌজন্য দেখাবে না? নিশ্চয়ই সৌজন্য থাকবে। তাই তো গত কয়েক বছরে রায়গঞ্জে চারটি প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির মূর্তি বসিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পুরসভা। এখানে রইল শাসক–বিরোধীর সৌজন্য।
তবে সৌজন্য এখানেই শ🧔েষ নয়, গত সপ্তাহে র💯ায়গঞ্জের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদের জন্মদিনও আড়ম্বরের সঙ্গে পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তর দিনাজপুর জেলার ভূমিপুত্র প্রিয়রঞ্জন। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত টানা দশ বছর রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকার সময় বিদেশ, তথ্য ও সম্প্রচার–সহ কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি। রায়গঞ্জ শহরের পানিশালা এলাকায় এইমস হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা প্রথম করেছিলেন তিনিই। তাই অতীতের বিরোধী নেতাকে সৌজন্য দেখানো বর্তমান প্রজন্মের কাছে একটা নৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন: সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছে পেঁয়াজের দাম, দোসর হয়েছে আলুর মূল্যবৃদ্ধি, প্রশ্নের মুখে টাস্ক ফোর্স
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক সৌজন্যকে ভাল চোখে দেখছেন না কংগ্রেস নেতারা। এখানের কংগ্রেস নেতাদের যুক্তি, এই জেলায় প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির আবেগকে কাজে লাগিয়ে মানুষের সামনে নাটক করছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাল্টা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের বক্তব্য, প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সিকে এভাবে শ্রদ্ধা জানাতে পেরে তাঁরা নিজেদের গর্বিত মনে করছে। তিন মাস আগে উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা পুরসভার মাটিহারিতে প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির আবক্ষ মূর্তি বসানো হয়েছে। পুরসভার পক্ষ♕ থেকে জানানো হয়েছে, প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির অবদানকে সম্মান জানাতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।