পাঁচ মাস পরও পূর্ব লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমিত না হওয়ায় নাম না করে চিনকেই দুষলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। স্পষ্টভাবে জানালেন, সীমান্তে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তাতে ইতি টানতে চায় ভারত। শান্তি ফেরানোর বিষয়ে বদ্ধপরিকর দেশ। কিন্তু তারপরও তা সম্ভবপর হচ্ছে না। ররিবার সকালে সিকিমের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরারবর সিকিমের শেরাথাংয়ে যাওয়ার কথা ছিল রাজনাথের। সেখানেই শস্ত্র পুজো করার কথা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য সেই পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়। পরিবর্তে ভারতীয় সেনার ৩৩ কোরের সদর দফতর সুকনায় শস্ত্র পুজো করেন রাজনাথ। ছিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ মুকুল নারাভানে। তারপর সুকনা সেনা ছাউনিতে হাতে বন্দুক নিয়ে নাড়াচড়া করেন তিনি। তেভর অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে তাকও করেন। পরে সেখান থেকেই গ্যাংটক-নাথুলর সড়কপথের উদ্বোধন করেন।তারই ফাঁকে রাজনাথ বলেন, ‘এই সময় ভারত ও চিনের সীমান্তে যে টানাপোড়েন চলছে, তা শেষ হয়ে যাক। এমনটাই চায় ভারত। শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক। এটাই আমাদের উদ্দেশ্য। কিন্তু কখনও কখনও এরকম অযাচিত ঘটনা ঘটতে থাকে।’ অর্থাত্ বার্তাটা স্পষ্ট, চিনের জন্যই সীমান্তের দ্বন্দ্ব এখনও মেটেনি। অথচ প্রায় ছ'মাস ধরে সেই বিবাদ চলছে। তা প্রশমনের জন্য একাধিক সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে বৈঠকে হয়েছে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে এখনও সীমান্তে উত্তেজনা তেমন কমেনি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ শীতের জন্য প্রস্তুত আছে ভারতীয় সেনা। তবে রাজনাথ স্পষ্ট করে দেন, ভারত শান্তি চাইলেও নিজেদের সীমান্ত রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর সেনা। তাই দেশের এক ইঞ্চিও কোনও শত্রুপক্ষ দখল করতে পারবে না বলে আশ্বাস দেন রাজনাথ। একইসঙ্গে ভারতীয় জওয়ানদেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, 'তবে আমি পুরোপুরি আশ্বস্ত যে কোনও পরিস্থিতিতেই আমাদের সেনার জওয়ানরা ভারতের এক ইঞ্চি জমিও অন্য কারোর হাতে যেতে দেবেন না। (আমি) শুধু আশ্বস্ত নই, এটা আমার বিশ্বাস। সম্প্রতি লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে যা হয়েেছে, তাতে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে আমি বলতে পারি ভারতীয় জওয়ানরা অভাবনীয় ভূমিকা পালন করেছেন। পরে যখন ইতিহাস রচিত হবে, তখন আমাদের ভারতীয় জওয়ানদের এই শৌর্য ও পরাক্রমের গাঁথাকে স্বর্ণাক্ষরে লিখবেন ইতিহাসবিদ।'