শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনায় অবশেষে ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। হামলার তিনদিন পর এই গ্রেফতারি করল ভক্তিনগর থানার পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা বলে জানা গিয়েছে। এর আগে অভিযোগ ওঠে, রামকৃষ্ণ মিশনের মালিকানাধীন 'সেবক হাউজ' বাড়ির বাইরে পুলিশ তালা লাগিয়ে জমিটা সিল করে দিয়েছিল। সেই সিলে আবার 'ডিকে' ছাপ ছিল। যা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছিল। শিলিগুড়ির সবচেয়ে বড় নির্মাণসংস্থার সঙ্গে সেই সিলের সম্পর্ক আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল তালার ওপরে মোমের ছাপে। এরই মাঝে অবশেষে মিশনের মহারাজদের ওপর হামলা চালানোর ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরা শুরু করল পুলিশ। (আরও পড়ুন: 🐓'আসন সংখ্যা নেমে...', রামকৃষ্ণ মিশন ইস্যুতে মমতার 'পতন' দেখছেন দিলীপ)
আরও পড়ুন: 🧜যৌন হেনস্থার অভিযোগের মাঝে নয়া বিতর্কে রাজ্যপাল, সামনে বোসের বিস্ফোরক ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: 🌳'এটা চাকরিজীবীদের অধিকার', মামলাকারী সরকারি কর্মীদের মুখে হাসি ফোটাল আদালত
𒅌রিপোর্ট অনুযায়ী, বিবাদের নেপথ্যে থাকা জমিটি জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনকে দান করেছিলেন সুনীলকুমার রায় নামক এক ব্যক্তি। পরে ওই জমি নিয়ে বিবাদ দেখা দেয়। মালিকানা নিয়ে জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছিল। তবে আদালতের রায়ে সম্পত্তি এখন মিশনের মালিকানাধীন। তবে পুলিশ কেন সেই জমি সিল করল? তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এদিকে এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর চরমে উঠেছে। এই হামলার নেপথ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'সাধু বিরোধী' মন্তব্যকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। অপরদিকে তৃণমূল আঙুল তুলেছে 'নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকা' পুলিশের দিকে।
আরও পড়ুন: 🐼'৩টের সময় হানা', এবার খড়গপুরে হিরণের আপ্তসহায়কের বাড়িতে ঘাটাল পুলিশ
আরও পড়ুন: 🦋দীর্ঘ কয়েক বছরের মামলা শেষে মাথায় হাত সরকারি কর্মীদের, বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের
আরও পড়ুন: 🏅'জানি না' বলেও রামকৃষ্ণ মিশনে হামলাকে 'পারিবারিক বিষয়' আখ্যা মমতার!
༒প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে শিলিগুড়ি লাগোয়া জলপাইগুড়ির শালুগাড়ায় রামকৃষ্ণ মিশনের ‘সেবক হাউজ’এ আক্রমণ চালায় প্রায় ৩৫ - ৪০ জন দুষ্কৃতী। তাদের অনেকের হাতেই ধারাল অস্ত্র ও বন্দুক ছিল। সন্ন্যাসীদের নিগ্রহ করে তারা। ওই ঘটনায় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ। পালটা সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে অভিযুক্ত প্রদীপ রায়। মঙ্গলবার জানা যায়, রামকৃষ্ণ মিশনের করা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রদীপ রায়ের বিরুদ্ধে সমস্ত জামিনযোগ্য ধারা প্রয়োগ করেছে পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্ত প্রদীপ রায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মহারাজদের বিরুদ্ধে রুজু মামলায় প্রয়োগ করা হয়েছে একাধিক জামিনঅযোগ্য ধারা। এই আবহে হামলার তদন্ত ছেড়ে পুলিশ জমির মালিকানা নিয়ে তদন্ত করছে বলে জানা গিয়েছে। ভূমি রাজস্ব দফতরে নাকি এই নিয়ে খোঁজখবর চালিয়েছে পুলিশ। যা নিয়ে আরও রহস্য তৈরি হয়েছে।