রানীগঞ্জ জুটমিল দীর্ঘ ১৩ বছর বন্ধ ছিল। শ্রমিকরা আশা ছেড়ে দিয়েছিল এই জুটমিল আর খুলবে কিনা তা নিয়ে। অনেকে সংসার চালাতে বিকল্প পথও বেছে নিয়েছিল। কিন্তু অবশেষে দীর্ঘ কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর আবার খুলছে রানীগঞ্জ জুট মিল। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে শ্রমিক মহলে। আগামী পয়লা ডিসেম্বর থেকে মঙ্গলপুরের ওই জুট মিল খুলে যাবে বলে খবর প্রকাশ্যে এসেছে। আর শনিবার ওই কারখানার ভিতরে যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখতে জুট মিলের পক্ষ থেকে টেকনিক্যাল🦹 টিমের প্রতিনিধিরা আসেন। এই কর্মসংস্থানের খবরে খুশি সংস্থার প্রাক্তন কর্মী থেকে শুরไু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। আর খুশি তৃণমূল, সিপিএম পরিচালিত দুটি শ্রমিক সংগঠনও।
তৃণমূল কংগ্রেস সরওকারে আসার পর থেকে একাধিক জুটমিল খুলেছে। আর কয়েকটি খোলার চেষ্টা করছে। তবে এখনও কিছু জুটমিল বন্ধও আছে। হুগলি মিলস্ প্রজেক্ট লিমিটেডের পক্ষ থেকে রাঘবেন্দ্র গুপ্তা বাংলার শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটককে চিঠি দিয়ে জানান, আগামী পয়লা ডিসেম্বর তারিখ থেকেই জুটমিল খোলা হবে। তখন থেকে জুট মিল রক্ষণাবেক্ষণে একটি শিফট চালু করা হবে। আর ৮ ঘণ্টা শিফটের কাজ ছাড়াও দে✤ওয়া হবে দু’ঘণ্টা ওভারটাইম। নিয়োগ করা হবে কর্মীদের। তবে জুট মিল বন্ধ থাকার সময়ের টাকা দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: কুরুক্ষেত্র আসানসোল, দুই প্রতিবেশীর তরোয়ালের লড়াইয়ে রক্তাক্ত রাস্তা, আতঙ্কে মানুষ
এই জুটমিল খোলার জন্য শ্রমিকদের অনেকেই তদারকি করেছিলেন বারবার। তখন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন। এরপর গত ১৩ নভেম্বর আইএনটিটিইউসি’র জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, সিটুর বংশগোপাল চৌধুরী, মিল কর্তৃপক্ষ এবং শ্রম দফতরের অফিসাররা শ্রমমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কলকাতার দফতরে মিল খোলা নিয়ে বৈঠক করেন। এই বৈঠকের পরই কর্তৃপক্ষ জুট মিল খুলতে আগ্রহ প্রকাশ করে চিঠি দেন শ্রমমন্ত্রীকে। তাঁরা সেই চিঠিতে জানান, ১৬ নভেম্বর কারখানা খতিয়ে দেখে শুরু হবে ꦅসাফাই করার কাজ। প্রায় ১১০০ শ্রমিককে মন্ত্রী মলয় ঘটকের উদ্যোগে মাসিক দেড় হাজার টাকা💧 করে ভাতা দেওয়া হচ্ছিল।
জুটমিল খুলে গেলে সংসার স্বাভাবিকভাবে চলবে। কষ্ট লাঘব হবে বলে মনে করছেন শ্রমিক পরিবারগুলি। আইএনটিটিইউসি’র পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক বলেন, ‘শ্রম দফতরেরꦫ অফিসার ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করার পর পয়লা ডিসেম্বর থেকে কারখানা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হবে। আমরা জানতে পেরেছি, এই জুটমিল পুরো মাত্রায় চালু হলে প্রায় ৪ হাজার কর্মী এখানে কাজ পাবেন। এলাকার সামগ﷽্রিক আর্থিক উন্নয়ন হবে।’ সিটুর নেতা বংশগোপাল চৌধুরীর বক্তব্য, ‘কারখানা চালু রাখতে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব।’ ২০১১ সালে এই কারখানা বন্ধ হয়ে যায়।