রেশন কার্ড সকলেরই আছে। কিন্তু র💛েশন কি আদৌ সকলে নেন? একেবারেই না। এদিকে তাঁদের বরাদ্দ রেশনও আসে ডিলারের 🎃গুদামে। আর সেই অতিরিক্ত রেশন ঘুরপথে বাজারে বিক্রির করার অভিযোগ নতুন নয়। তবে এ ধরনের অসাধু ডিলারদের এবার দিন শেষ। আধার-রেশন সংযোগ, বায়োমেট্রিক ও ওটিপির মাধ্যমে এবার রেশনের হিসাব রাখবে রাজ্য সরকার।
পশ্চিমবঙ্গে ১০ কোটিরও বেশি বাসিন্দার রেশন কার্ড রয়েছেন। এঁদের সকলের দ্রুত আধার-রেশন সংযোগ সেরে ফেলাই এখন লক্ষ্য রাজ্য সরকারের। রাজ্য সরকারের এক আধিকারিকের কথায়, 'এখন অনেকেই 🦩রেশন তোলেন না। রেশন কার্ড খালি একটা পরিচয়পত্রের সামিল। ফলে অনেকেই আধার রেশন সংযোগে উত্সাহ নাও পেতে পারেন।'
কিন্তু সেক্ষেত্রে এই কারচুপি রোখার প্রক্রিয়া কার্যকর করা যাবে না। তাই সকলকে দ্রুত আধার-রেশন সংযোগ করার পরামর্শ দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রায় অর্ধেক রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযোগ হয়ে গিয়েছে। এছাড়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে, এলাকায় ও দুয𒁃়ারে সরকারের শিবির করে এবং বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে রেশন-আধার সংযোগে গতি আনছে রাজ্য সরকার।
খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে ‘ই-পস’ যন্ত্রের মাধ্যমে রেশন তোলা যাবে। সেখানে বায়োমেট্রিক, অর্থাত্ আঙুলের ছাপ দিলে তবেই রেশন তোলা যাবে। অর্থাত্ অন্যের রেশন কার্ড নিয়ে কেউ তুলতে পারবেন না। যাঁর কার্ড তাঁকেই আসতে হবে। তবে এটা অনেক সময়ে কাজ না-ও করতে পারে। সেক্ষেত্রে রেজিস্🦹টার্ড মোবাইল নম্বরে ওটিপি আসবে। ওটিপি দেখালে তবেই রেশন দেওয়া হবে। রেশন নেওয়ার এসএমএস-ও আসবে।
এর ফলে একদিকে যেমন কেউ ভুয়ো কার্ড, অন্যের কার্ড দিয়ে তুলতে পারবেন না, তেমনই অতিরিক্ত রেশন দেখিয়ে কারচুপি করতেౠ পারবেন না অসাধু ডিলাররা। কোনও দোকানে ঠিক কতজন রেশন তুলছেন, তা ডেটাবেসে আপলোড হতে থাকবে সর্বক্ষণ। ফলে কম রেশন দিয়ে বেশি রেশন দেখানো যাবে না।