আগামী ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হতে চলেছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। তা ঘিরে 𒐪এখন থেকেই বিভিন্ন রকমের রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। সেই আবহে এবার মেদিনীপুরের একটি রাম মন্দির সংস্কার করেছে পুরসভা। আগামী ১৫ জানুয়ারি সংক্রান্তির দিনে এই মন্দিরের উদ্বোধন হবে। এই ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সে ক্ষেত্রে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে কীভাবে জনগণের উন্নয়নের টাকায় ধর্মস্থান সংস্কার করা হল? তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন: রাজ্যেও প্রচারের কেন্দ্রে রামমন্দির, উদ্বোধনের আগেই কোন কৌশলে মাঠে♓ নামছে বি🧜জেপি
কংসাবতী নদীর তীরে গান্ধীঘাটে একটি ছোট্ট মন্দির রয়েছে। সেই মন্দিরে সীতা ও রামের সঙ্গে হনুমানের মূর্ত🌠ি রয়েছে। যদিও এই মন্দিরটি এতদিন চর্চার কেন্দ্রে ছিল না বা এনিয়ে কারও মাথাব্যথা ছিল না। সামনেই যেহেতু অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন হতে চলেছে। তার আগে এই রাম মন্দিরের সংস্কার করেছে মেদিনীপুর পুরসভা। আর সেই মন্দির সংস্কার করা হয়েছে পুরসভার টাকায়। তাই নিয়ে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে গান্ধীঘাটের এই রাম মন্দির। বর্তমানে নতুনভাবে সেজে উঠেছে এই মন্দির। প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় রাজ্যের টাকায় এবং হিডকোর তত্ত্বাবধানে জগন্নাথ মন্দির গড়া নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
অবশ্য, মেদিনীপুর পৌরসভার তৃণমূল পুর প্রধান সৌমেন খান দাবি করেছেন, শুধু এই মন্দির নয়, অন্যান্য ধর্মস্থান সংস্কার করেছে পুরসভা। বিরোধীদের বক্তব্য, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে সরকারের পক্ষে ধর্মস্থান সংস্কার করা উচিত না। সেই অর্থ স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারত। যদিও ইতিহাস রক্ষার যুক্তি দিয়ে এই রাম মন্দির সংস্কার করে ফেলেছে মেদিনীপুর পৌরসভা। তাদের বক্তব্য, এর সঙ্গে ইতিহাস জড়িত রয়েছে। ইতিহাসবিদদের একাংশের বক্তব্য, ১৯৪৮ সালের ১২ ফেব্রুয়া🦂রি এই ঘাটে মহাত্মা গান্ধীর চিতাভস্ম ভাসানো হয়েছিল। তাই সৌন্দর্যায়নের নামে তর্পণ প্রকল্পের অধীনে এই ঘাট নতুন করে বাঁধানো হয়েছে। এর জন্য খরচ হচ্ছে ৫০ লক্ষ টাকা। তাদের বক্তব্য ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য , রাজ্যের নয়, কেন্দ্রের টাকাতেই গান্ধীঘাট সাজানো হয়েছে। তৃণমূলের পুরপ্রধান জানিয়েছেন, এর আগে কারবালা মাঠের উন্নয়ন করা হয়েছে, গির্জার আলোও লাগানো হয়েছে।