প্রবল তুষারপাতের জেরে আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হল সান্দাকফু পর্যটন কেন্দ্র। রাস্তা বরফে ঢেকে যাওয়ার কারণে আগামী ১০ দিন সান্দাকফু যাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। গত কয়েকদিন ধরেই সান্দাকফু, টাইগার হিল এবং তুমলিং-সহ একাধিক জায়গায় পর্যটকরা আটকে পড়ার ঘটনা সামনে এসেছে। সেই কারণে পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সান্দাকাফু যাওয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।ইতিমধ্যেই তুষারপাতের জেরে বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়া ২৩৫ জন পর্যটককে উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পন্নমবালাম জানিয়েছেন, আটকে পড়া পর্যটকদের নিরাপদে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও, টংলু ও তুমলিং এলাকায় এখনও আটকে রয়েছেন ১০০ জন পর্যটক। বেড়াতে গিয়ে এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পর্যটকরা। সুখিয়াপোখরির বিডিও সামিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং ল্যান্ড রোভার অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় ওই সমস্ত পর্যটকদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, দার্জিলিংয়ের এই সমস্ত এলাকায় তুষারপাত হচ্ছে দীর্ঘদিন পর। তুষারপাতের অনুমান করতে না পেরে টাইগার হিল, সান্দাকফু, টংলু, তুমলিং পার্বত্য এলাকায় অসংখ্য পর্যটক ভ্রমণে গিয়েছিলেন। তারপর তুষারপাতের জেরে পর্যটকরা সেখানেই আটকে পড়েন। বরফে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় নিচে নামতে পারেননি পর্যটকরা। সেখানে তারা হোটেল, লজ ও হোমস্টেতে ছিলেন। এই খবর পাওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসন বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তাঁদের উদ্ধার করার কাজ শুরু করেন। কিছুদিন আগেই প্রায় ২৭৫টি পর্যটক বোঝাই গাড়ি সিকিমের ছাঙ্গুতে আটকে পড়েছিল। সেই সময় প্রায় এক হাজার পর্যটককে উদ্ধার করেন সেনাবাহিনীর জওয়ানরা।