দক্ষিণবঙ্গে পুরোদস্তুর শীত না পড়লেও উত্তরবঙ্গে কিন্তু পড়েছে। হিমেল হা𓆏ওয়ার সঙ্গে কনকনে ঠান্ডায় জমে যাওয়ার অবস্থা। রোদের তেজ তেমন গা গরম করতে পারছে না। তারইমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ স্থান সান্দাকফুতে চলতি মরশুমে প্রথমবার বরফ পড়েছে। শনিবার রাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত তুষারপাতের ফলে পুরোপুরি সাদা চাদরে মুড়েছে গোটা এলাকা। সাদা বরফের আস্তারণে গোটা পাহাড় যেন বিরাট আইসক্রিমের আকার নিয়েছে।
কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া খারাপ ছিল। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু শনিবার দুপুরের পর থেকে আবহাওয়ার অবনতি হতে শুরু করে। রবিবারও সেখানে বৃষ্টির সম্ভাব🍸না রয়েছে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। তার মধ্যে বরফ পড়ায় চরম ঠান্ডার আমেজ নিচ্ছেন পাহাড়বাসী। উঠছে চেয়ার পেয়ালায় তুফানও।
জানা গিয়েছে, উত্তর সিকিম এবং ভুটানে ভারী তুষারপাত হয় শনিবার দুপুরের পর থেকে। লাচুং, লাচেন–সহ বিভিন্ন এলাকা বরফে ঢেকে যায়। ভারী তুষারপাতের জেরে ভুটানেও যান চলাচল থমকে যায়। তখন থেকেই মনে হচ্ছিল যে বাংলার ভাগ্যও এবার বরফ জুটতে পꦬারে। এবার হলও তাই। সন্ধ্যাবেলায় শুরু হওয়া তুষারপাতের আনন্দ নিয়েছেন 🤡অনেকেই। ছাতা মাথায় দিয়ে বেরিয়ে পড়েন অনেকে।
আর শনিবার সন্ধ্যা থেকে দার্জিলিং–কালিম্পংয়ের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়। রাতের দিকে শিলিগুড়িতেও বৃষ্টি হয়েছিল। তখনই বরফ পড়া শুরু হয় সান্দাকফুতে। তবে করোনাভাইরাস আবহেও সান্দাকফুতে পর্যটক রয়েছেন। রবিবার সকালে সান্দাকফুর নতুন রূপ দেখে তাঁরা সবাই আনন্দে মেতে উঠেছেন। ডিসেম্বর মাসে এই তুষারপাত রীতিমতো হিল্লোল তুলেছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টাতেও বিক্ষিপ্তভাবে তুষারপাত হতে পারে সান্দাকফুতে। দার্জিলিংয়ে বৃꦕষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস।