দু’দিন নিখোঁজ থাকার পর শান্তিনিকেতনের মোলডাঙা গ𒈔্রামে প্রতিবেশীর বাড়ির টিনের ছাদ থেকে উদ্ধার হল শিশুর দেহ। মঙ্গলবার দুপুরে দেহ উদ্ধারের পরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকা। অভিযুক্💃তের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন স্থানীয়রা। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে।
রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ বিস্কুট কিনতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় শিবম ঠাকুর নামে ৪ বছরের ওই শিশু। স্থানীয়🤡রা জানিয়েছেন, অঙ্গনওয়াড়ির পডুয়া ওই শিশু তখন পাড়ার দোকানে বিস্কুট কিনতে গিয়েছিল। দোকান থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। ওদিকে অঙ্গনওয়াড়িতে খাবার সময় হয়ে যাওয়ায় তাঁর খোঁজ শুরু করেন বাড়ির লোকজন। কিন্তু শিশুটিকে কোথাও পাওয়া যায়নি। এর পর শান্তিনিকেতন থানায়🐬 শিশুটি অপহরণ হয়েছে বলে অভিযোগ করে পরিবার। সন্দেহের তির ছিল প্রতিবেশীর দিকে। তল্লাশিতে নামে পুলিশ। রবিবার দুপুর থেকে গোটা শান্তিনিকেতন তন্ন তন্ন করে শিশুটিকে খোঁজেন পুলিশ কর্মী ও আধিকারিকরা। কিন্তু শিশুটির কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এমনকী শিশুটিকে খুঁজতে গিয়ে অন্য একটি দেহ খুঁজে পায় তারা।
অভিনন্দন বর্তমানের মিগ-২১ যুদ্ধবিমানকে অবসরে পাঠাচ্ছে বিমান বাহিনী
মঙ্গলবার দুপুর থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। যে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে শিশুটিকে অপহরণের অভিযোগ, তার বাড়ির টালির ছাদে অস্বাভাবিক ভাবে মাছি উড়তে দেখেন স্থানীয়রা। এর পর টালির ছাদে উঠে পড়েন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। সেখানে তাঁরা দেখেন একটি টিনে🎐র টুকরো দিয়ে চাপা দেওয়া রয়েছে প্লাস্টিকে মোড়া কিছু। টিন সরিয়ে প্লাস্টিক খুলতেই দেখা যায় ছোট্ট শিবমের দেহ।
মুহূর্তের মধ্যে উত্তেজন��া ছড়ায় এ👍লাকায়। লাঠি বাঁশ নিয়ে অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর শুরু করে দেন স্থানীয়রা। বাড়িতে ঢুকে চলে ভাঙচুর। বাড়ি থেকে জিনিসপত্র বার করে জ্বালিয়ে দেন তাঁরা। ওদিকে আগে থেকেই ঘটনাস্থলে মোতায়েন ছিলেন পুলিশকর্মীরা। তাঁরা থানায় খবর দেন। থানা থেকে পুলিশকর্মীরা এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যান।
এই ঘটনার জেরে এলাকাজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। নিহত শিশুর মা জানিয়েছেন, প্রতিবেশীর সঙ্গে আমাদের গোলমাল ছিল। সেজন্য ছেলেকে অপহরণ করেছে বলে সন্দেহ করেছিলাম। কিন্তু এতটুকু ছেলেকে ওরা মেরে ফেলতে পারে সেকথা ভাবিনি। এই ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন সꦑ্থানীয়রা। উত্তজনা প্রশমণে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। দেহ বোলপুর সিয়ান হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছ𝐆ে পুলিশ।