শক্তিগড়ে রাজু ঝা খুনের তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল বা 'সিট' গঠন করা হল। এই সিটে ১২ জন সদস্য রয়েছেন। সিটের নেতৃত্বে রয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন। এদিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাজু ঝায়ের মৃতদেহের ময়নাতদন্তের করা হয় রবিবার। তার দেহ থেকে ৪টি গুলি উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে রবিবার সন্ধ্যে নাগাদ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। তা থেকে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে শুটআউটের ঘটনায় ১৩ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছিল। (আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনেܫ নয়📖া মোড়, বৈশাখেই যৌথ মঞ্চের সঙ্গে বৈঠকে বসবে '১২ জুলাই কমিটি')
ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থল থেকে ১৩টি গুলির খোল উদ্ধার করেছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজুর শরীর থেকে ৪টি গুলি উদ্ধার করা হলেও তাঁর শরীরে আরও বেশ কিছু জায়গায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার ক্ষত রয়েছে। এছাড়া ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য রাজুর জামা কাপড় থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক দল। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকেউ গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এদিকে গোয়েন্দাদের মাথায় এখনও ঘুরছে একটাই প্রশ্ন, রাজু ঝা-র সঙ্গে একই গাড়িতে কী করছিলেন গরুপাচার মামলায় 'ফেরার' আব্দুল লতিফ ওরফে হিঙ্গুর শেখ? উল্লেখ্য এই লতিফ আবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। (আরও পড়ুন: তিন মাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেশের বেকারত্বের হা▨র, মার্চে চা♏করি হারান ২৩ লাখ: CMIE)
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ড🎃ারের টাকা পাও🎐য়া আরও সহজ হল, বড় নিয়ম বদল করল রাজ্য সরকার
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে দুর্গাপুর থেকে কলকাতা যাওয়ার 🐬পথে শক্তিগড়ে একটা ল্যাংচার দোকানের সামনে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হয়েছিলন কয়লা মাফিয়া তথা বিজেপি নেতা রাজু ঝা। দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে জখম হয়েছিলেন রাজুর অপর সঙ্গী ব্রতীন মুখোপাধ্য়ায়। তাঁর হাতে অস্ত্রোপচার হয়েছে। এদিকে ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, শুটআউটের আগেই গাড়ির ড্রাইভার ও অন্য একজন গাড়ি থেকে নেমে বাইরে চলে গিয়েছিলেন। ওই ব্যক্তি গরু পাচারকারী আব্দুল লতিফ বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। সেই ব্যক্তির কোনও হদিস পাওয়া যায়নি এখনও।