তিনি প্রায় এক যুগ ধরে নিখোঁজ ছিলেন। এত দিন ধরে নিখোঁজ থাকলে যে কাউকে মৃত হিসেবে ধরে নেওয়াটা স্বাভাবিক। তার পরিবারের লোকেরাও তাকে মৃত হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন। তার বেঁচে থাকার সমস্ত আশা শেষ হয়ে গিয়েছিল পরিবারের। কিন্তু, সেই আশঙ্কা কাটিয়ে আবার তাকে ফিরে পেল পরিবার। এমনই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের নিখোঁজ প্রৌঢ় জব্বার বেগের সঙ্গে। ১১ বছর পর আবার তাকে জীবিত ফিরে পেয়ে খুশি পরিবারের লোকেরা। কী ঘটেছিল?পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, জব্বার উত্তরপ্রদেশের লখনৌয়ের সিতাপুরের বাসিন্দা। ১১ বছর আগে তিনি গোরোখপুরে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তারপর কোনওভাবে ট্রেনে করে চলে আসেন সুন্দরবনের কাকদ্বীপে। সেখানেই কোনভাবে ভিক্ষাবৃত্তি করে বা সাহায্য চেয়ে দিনের-পর-দিন কাটাচ্ছিলেন। পরিবারের লোকেরা জানাচ্ছেন, ১৪ বছর আগে তড়িদাহত হয়েছিলেন জব্বার। তারপর থেকেই তিনি শারীরিক এবং মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ফলে তিনি ঘুরতে ঘুরতে কখন যে কাকদ্বীপে চলে এসেছিলেন তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি।এদিকে, পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। কিন্তু, দিন যায়, বছর যায় তারপরেও কোন খোঁজ মেলে না জব্বারের। পরিবারের লোকেরা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন যে তিনি হয়তো আর জীবিত অবস্থায় নেই। ফলে পরিবারের লোকেরাও আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে কিছুদিন আগে কাকদ্বীপ স্টেশন চত্বর থেকে জব্বারকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসা চালাচ্ছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাদের উদ্যোগেই সুস্থ হয়ে ওঠে জব্বার নিজের ঠিকানা পরিচয় মনে করতে সক্ষম হন। এরপরে সুন্দরবন জেলা পুলিশের কাছে খবর দেওয়া হলে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হ্যাম রেডিওর মাধ্যমে সুন্দরবন জেলা পুলিশ উত্তরপ্রদেশে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এই খবর পাওয়ার পরে তাকে নিতে আসেন ছেলে ও ভাগ্নে। বাবাকে জীবিত অবস্থায় ফিরে পেয়ে খুশি জব্বারের ছেলে শামীম বেগ।