রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলছেন, কাজ করলেও পয়সা দিচ্ছে না কেন্দ্র। ধরে নিলাম আমরা দুর্নীতি করেছি। কিন্তু মানুষের টাকা বেআইনিভাবে আটকে রাখবে কেন? ওদিকে সোনারপুরের প্রতাপনগরে নগ্ন হয়ে গিয়েছে তাঁর দল ও প্রশাসনের কাজের বহর। যে রাস্তায় ইট পর্যন্ত পড়েনি তার 𝓡কাজ শেষ দেখিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে নিয়𓆏েছে তৃণমূলের দুর্নীতিবাজরা। চাকরি বাঁচাতে ‘ব্যাপারটা বিচারাধীন’ বলে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
সোনারপুরের প্রতাপনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক রাস্তার কাজ না হলেও টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ দিলীপ ঢালির দিকে। এক জনস্বার্থ মামলায় আদালতে হলফনামা দিয়ে প্রতাপনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সেই কাজ জেলাশাসক পর্যবেক্ষণ করেছেন বলেও দাবি করা হয়েছে সেখানে। তালিকা মিলিয়ে রাস্তা খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় গ্রাম পঞ্চায়েতের আদিরাবাদ এলাকায় একটি রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে বলে ৩৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। সেখানে একটা ইটও পড়েনি। ♎আরেকটি রাস্তার ক্ষেত্রেও একই রকম দুর্নীতি করে ৭ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
গ্রামবাসীদের দাবি, গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এরকম অন্তত ১০টি রাস্তা ♊রয়েছে। যে কটি রাস্তায় কাজ হয়েছে সেখানেও কাজের মান খুবই খারাপ। ঘুসি মারলে ফেটে যাচ্ছে꧅ পিচ।
এই নিয়ে তৃণমূলি পঞ্চায়েত প্রধান তাপসী মণ্ডল বলেন, সব কিছু দেখভাল করত দিলীপ ঢালি। আমাকে দিয়ে সই করিয়ে নিত। এখন তো দেখছি রাস্তার কাজ হয়নি কিন্তু টাকা✃ তুলে নিয়েছে। দিলীপౠবাবু বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন। অনেক সময় প্রকল্পের যে টাকা বরাদ্দ থাকে তাতে সব কাজ করা যায় না। তেমন কিছু হয়ে থাকতে পারে।