এক কামড়ে টেনে নিয়ে জলে চলে গেল কুমির। তারপর থেকে আর তাঁর কোনও হদিশ মেলেনি। সুতরাং কুমিরের পেটে চলে গিয়েছে মৎস্যজীবী বলে মনে করা হচ্ছে। আর ওই মৎস্যজীবী অন্যান্যদের থেকে মাছের খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। তখনই কুমির তাঁকে আক্রমণ করে। আর এক কামড়ে জলের মধ্যে নিয়ে চলে যায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানার সত্যদাস💎পুর এলাকায় এটাই এখন সবচেয়ে বেশি চর্চিত খবর। ওই মৎস্যজীবীকে এখনও উদ্ধার করা না যাওয়ায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। নদীতে তাই চলছে জোরকদমে তল্লাশি।
সুন্দরবন এলাকায় বাঘের পেটে মৎস্যজীবীদের যাওয়ার খবর প্রায়ই মেলে। তার উপর সেখানে এখন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু কুমিরের এমন হামলা সত্যিই বিরল। কুমির আগেও হামলা করেছে। তবে এভাবে জলে টেনে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়নি। তাও সবার চোখের সামনে। ওই মৎস্যজীবীর নাম আসমাউদ্দিন শেখ। রবিবার সকালে এলাকার কয়েকজন মৎস্যজীবীর সামনে এই ঘটনা ঘটেছཧে। তখন নদীতে জাল ফেলছিলেন অন্যান্য মৎস্যজীবীরা। আর আসমাউদ্দিন তাঁদের কাছে মাছের খোঁজ নিচ্ছিলেন। নদীর চরেই দাঁড়িয়ে থাকার সময় হঠাৎই একটি কুমির লেজেღর ঝাপটা দিয়ে তাঁকে জলে ফেলে দেয়। আর এক কামড়ে মুখে করে টেনে গভীর জলে নিয়ে চলে যায় মৎস্যজীবীকে।
আরও পড়ুন: ‘ছাব্বিশে বাংলা দখলে দুটি কাজ করতে হব♚ে’, বার্তা শুভেন্✅দুর ‘বিজেপি দলটা থাকবে!’ খোঁচা কুণালের
এই ঘটনায় তুমুল আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এই ঘটনার খবর পেয়েই গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানা, বন দফতর ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করতে। তবে সন্ধ্যে পর্যন্ত উদ্ধারের খবর 🅷মেলেনি। তাই অনেকে ধরেই নিচ্ছেন ওই মৎস্যজীবীকে আর ফিরে পাওয়া যাবে না। এমনকী কুমিরের পেটেই গিয়েছে আসমাউদ্দিন শেখ। মৎস্যজীবীর খোঁজে নদীতে জোরদার তল্লাশি চলছে। একমাস আগে ওই একই এলাকা থেকে কুমিরের পেটে গিয়েছিল এক নাবালক। তিনদিন পর তার দেহ উদ্ধার হয়। মৃত নাবালকের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করেছিল রাজ্য সরকার। এবার মাঝবয়সি মৎস্যজীবীকে টেনে নিয়ে গেল কুমির।