লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ–বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। এমনকী কোনও বিধানসভার উপনির্বাচনেও জিততে পারেনি বিজেপি। এই অবস্থায় এবার ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে তেড়েফুঁড়ে উঠতে চলেছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে হাতে রয়েছে মাত্র দেড় 🧸বছর। তারপরই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন হবে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা দখলের ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এই ক্ষমতা দখল বাস্তবায়িত করতে হলে কোন পথে হাঁটতে হবে তা বাতলে দিয়েছেন শুভেন্দু। পাল্টা খোঁচা দিয়ে🐻ছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলা থেকে ১২টি আসন পেয়েছে। আর সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি আসন পেয়েছে। এমনকী কেন্দ্রে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। আবার জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে ইন্ডিয়া জোট শক্তিশালী হয়েছে। এই আবহে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘২🧜০২৬ সালে বাংলার ক্ষমতা দখল করতে হলে দুটি কাজ করতে হবে। এক, পুলিশের হাত থেকে ভোট পরিচালনার ক্ষমতা কাড়তে হবে। দু𒉰ই, ভোটের আগে মানুষের ভয় কাটাতে হবে। বাংলার মানুষের অবাধ ভোটদান নিশ্চিত করতে হলে ইলেকশন কমিশনকে বলব, হাত পা বেঁধে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পাঠাবেন না।’
আরও পড়ুন: চর্মকারকে নতুন সেলাই মেশিন কিনে দিলেন রাহুল গান্ধ💫ী, উপহার পে𝔍য়ে খুশি রাম চেত
আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জোরদার লড়াই হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ এখন থেকেই বিজেপি তা নিয়ে হুঙ্কার ছাড়তে শুরু করেছে। শনিবার হলদিয়ায় এক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে সুর চড়িয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর লোকসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর বিজেপির অভিযোগ, এবারের লোকসভা নি𝔍র্বাচনে ইলেকশন কমিশন বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠালেও তাদের হাতে কোনও ক্ষমতা ছিল না। আর সেই সুযোগ নিয়ে রাজ্য পুলিশকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস অবাধে ভোট লুঠ করেছে।
শুভেন্দু অধিকারীর এই কথা শুনে খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। বিজেপির করুণ অবস্থা তুলে ধরে কুণাল ঘোষ খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘বিজেপি এখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গ🐬িয়েছে। তাই হতাশা থেকে এসব কথা বলছেন শুভেন্দু। আর ওরা যা করছে তাতে বাংলায় বিজেপি দলটা ২০২৬ পর্যন্ত থাকবে কিনা, সেটাই বড় প্রশ্ন!’ অর্থাৎ বঙ্গ–বিজেপির অবস্থা আরও শোচনীয় হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। কুণালের বক্ত👍ব্য, ‘এবারের নির্বাচনে তো সারা রাজ্যের মধ্যে বাংলাতেই সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। সাত দফায় ভোটও হল। তাতে তো বিজেপির আসন সংখ্যা গতবারের চেয়েও ৬টা কমে গিয়েছে।’