ইদানিং বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে ধরা পড়ছে আল–কায়দার জঙ্গি। এই নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছিল গোয়েন্দাদের। সদ্য ডায়মন্ডহারবার থেকে আল–কায়দা জঙ্গিকে ধরা হয়েছিল। কিন্তু কিভাবে তারা এরাজ্যে প্রবেশ করছিল? এই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছিল এসটিএফ। এবার তাঁদের হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সুন্দরবনের জলপথ ব্যবহার করে সীমান্ত পেরিয়ে এই রাজ্যে আসত আল–কায়দা জঙ্গিরা। তাদের নিয়ে আসার দায়িত্বে ছিল ডায়মন্ডহারবার থেকে ধৃত সন্দেহভাজন আল–কায়দার জঙ্গি সমীর হোসেন। এখানে নিয়ে এসে খারিজি মাদ্রাসায় তাদের প্রশিক্ষণের ব♛্যবস্থা করে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল সমীর হোসেনের উপর। তদন্তে নেমে এই তথ্যই পেয়েছে তদন্তকারীরা। তদন্তে উঠে এসেছে জনৈক মইনুদ্দিনের নাম। এই মইনুদ্দিনই ডায়মন্ডহারবারে সমীর হোসেনদের বস হিসাবে কাজ করত। এবার তাকে খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
কেমন করে তদন্তের অগ্রগতি হল?🦹 এসটিএফ সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার শাসন থেকে কয়েকদিন আগে আবদুর রাকিব সরকার এবং এহসানউল্লা নামে দুই আল– কায়েদা জঙ্গি ধরা পড়ে। তাদের জেরা করে শনিবার ডায়মন্ডহারবার এবং মুম্বই থেকে আরও দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। জেলায় জেলায় খারিজি মাদ্রাসা তৈরির জন্য জমি খোঁজা ജশুরু করেছিল সমীর হোসেন। দুই ২৪ পরগনা, মালদহ, মুশির্দাবাদে বেশি সংখ্যায় অনুমোদনহীন মাদ্রাসা গড়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল।
আর কী জানা যাচ্ছে? তদন্তে নেমে এসটিএফ জানতে পেরেছে, খাগড়াগড় বিস্ফোরণে জড়িত জেএমবি মডিউলের মতোই এই রাজ্যে কাজ করছে আল–কায়দা মডিউলও। খারিজি মাদ্রাসার জমির জন্য মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করত সমীর। অন্যের𓃲 আধার–ভোটার কার্ড ব্যবহার করে জমি কেনার পরিকল্পনা ছিল। মাদ্রাসা ♔গড়ে ꦿমগজ ধোলাই এবং বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলাও ছিল অন্যতম লক্ষ্য। আর বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আসত। সেই টাকা মইনুদ্দিনের হাত ঘুরে পৌঁছত সমীর হোসেনের কাছে। দুই অভিযুক্তের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে এই তথ্য পেয়েছে পুলিশ।