বিশ্বভারতীর কয়েকজন পড়ুয়াকে তিন বছরের বহিষ্কারের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে লঘু পাপে গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এমনটাই বলেছেন কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি। পাশাপাশি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের যে আন্দোলন চলছে তা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।ছাত্রদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। ক্লাসে যোগ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজকুমার মান্থা বলেন, আমি স্বীকার করছি যে ছাত্রদের সঙ্গে যা হয়েছে সেটা ঠিক হয়নি। কিন্তু এটাও ঠিক হচ্ছে না। আমি ছাত্রদের সাসপেনশন তুলে দিতে বলছি। কিন্তু কোনও বাইরের লোক আসবে না। ছাত্ররা আন্দোলন বন্ধ করবে। কোনও রাজনৈতিক দলের নাক গলানো চলবে না। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত অনেক বেশি শাস্তি। এদিকে এদিন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করতে আসছিলেন রেজিস্ট্রার অশোক মাহাতো। কিন্তু তাঁর গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন একজন ছাত্র। গাড়ির সামনে বিক্ষোভও দেখাতে শুরু করেন তারা। এরপরই ফিরে যেতে বাধ্য হন বিশ্বভারতীর আধিকারিকরা। পড়ুয়াদের অভিযোগ, গত ২৭শে অগস্ট থেকে আন্দোলন চলছে। এতদিন তাঁদের দেখা মেলেনি। এবার আদালতের রায় বেরোতেই তাঁরা হাজির হয়েছেন। সেই কারণেই তাঁদের আটকানো হয়েছিল। এদিকে এদিন আন্দোলনকারীরা এদিন পরস্পরের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন। আবির খেলাতেও মাতেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি এদিনও উপাচার্যের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন আন্দোলনকারীরা