স্কুল যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ২ ছাত্রী। এরপর পোশাক বদলে অন্যত্র পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। কিন্তু স্থানীয় ক্লাব সদস্যদের তৎপরতায় তাঁদের বাড়ির সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রায়দিঘি থানা এলাকার চাপলা হাই স্কুলের ২ ছাত্রী প্রিয়া মণ্ডল, পার্বতী হালদার। এই দুই ছাত্রী স্থানীয় ক্লাবের মাঠে পোশাক বদলে অন্য জায়গায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখনই তাঁদের দেখে সন্দেহ হয় সিংহচক পল্লী উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের। তাঁরা ২ ছাত্রীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ছাত্রীদের উত্তরে অসংগতি ধরা পড়ে। এতে সমিতির সদস্যদের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। ছাত্রীদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁদের বাড়ি কোথায়, কোথায় যাচ্ছে, সবকিছু জেনে নেওয়া হয়। এরপরই ছাত্রীদের পরিবারের লোকজনকে ফোন করে ডেকে নেওয়া হয় ও তাঁদের হাতে ছাত্রীদের তুলে দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে পল্লী উন্নয়ন সমিতির সভাপতি সুরঞ্জন চক্রবর্তী জানান, ‘হঠাৎ অষ্টম শ্রেণির ২ ছাত্রী আমাদের ক্লাবের মাঠে ড্রেস চেঞ্জ করতে থাকে। এক ঘণ্টা ধরে ড্রেস চেঞ্জ করতে থাকে। এতক্ষণ ধরে ড্রেস চেঞ্জ করায় আমরা ক্লাবের অন্যান্য সদস্যদের ডেকে নিই। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওদের কথাবার্তায় অসংগতি থাকায় আমরা ওদের অভিভাবকদের ডাকব বলে ঠিক করি। তখন ওরা আরও ভয় ভীত হয়ে আরও মিথ্যা কথা বলে। অভিভাবকদের ফোন নম্বর দিতে অস্বীকার করে। আমরা খোঁজখবর নিয়ে সব জানি। অভিভাবকদের ডেকে এনে তাঁদের হাতে ছাত্রী ২ জনকে তুলে দেওয়া হয়।’ জানা যায়, ২ ছাত্রীদের মধ্যে পার্বতী শঙ্কর হালদারের নাতনি আর সুধীর মণ্ডলের নাতনি প্রিয়া মণ্ডল বলে জানা গিয়েছে।