বিষ্ণুপুরের একটি আর্থিক প্রতারণা মামলায় আদালতে নিজেই সওয়াল করলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, সুদীপ্তর পক্ষ থেকে কোনও আইনজীবী না দাঁড়ানোয় নিজেই বিচারকের কাছে জামিনের আবেদন জানান তিনি যদিও আদালতের বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেননি। এই মামলার শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন। আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, তিনি বিষ্ণুপুরের পৈলান পার্কে সারদা আবাসন প্রকল্পে মানুষকে বাড়িঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর জন্য তিনি বহু মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করেছিলেন। কিন্তু, সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও গ্রাহকরা বাড়ি পাননি। যদিও তার পরেই ২০১৩ সালের ১৩ এপ্রিল কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার হন সুদীপ্ত সেন।সেই মামলাটি এতদিন আলিপুরের জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে চলছিল। এখন এই মামলাটিকে বারুইপুরের জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেই মামলার শুনানি ছিল বুধবার। প্রিজন ভ্যান থেকে তাকে নামিয়ে আদালতে পেশ করার সময় দেখা যায় তার মুখ ভর্তি দাড়ি রয়েছে। চুল বেশ কয়েক মাস ধরে কাটা হয়নি। পায়ে যে হাওয়াই চটি পড়ে ছিলেন সেটিতেও বহু ছিদ্র রয়েছে। তার গায়ের সোয়েটারটাও ছিল রং চটা। তার পক্ষে এ দিন কোনও আইনজীবী না থাকায় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি বিচারককে বলেন, ‘আমার ব্যাঙ্ক ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির সমস্ত হিসেব নিকেশ এবং তথ্য আমি জমা দিয়েছি। আশা করছি আপনি আমার জামিন মঞ্জুর করবেন।’ সুদীপ্তর আগেকার আইনজীবী জানান, ‘এখন তিনি আর জামিনে ততটা উৎসাহী নন। কোথায় কোন মামলা রয়েছে তার খবরও তিনি আর জানাতে চান না।’ এ প্রসঙ্গে সুদীপ্তর বক্তব্য, ‘আমার কাছে টাকা নেই, আমার পাশে কেউ নেই।’