আগামী সোমবার (৭ ডিসেম্বর) মেদিনীপুরে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেরদিন অর্থাৎ রবিবার নিজের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জনসমক্ষে মুখ খুলতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। এমনটাই জানিয়েছেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। তার আগে আগামিকাল (৩ ডিসেম্বর) সবমিলিয়ে তিনটি অরাজনৈতিক সভায় যোগ দেবেন শুভেন্দু। ক্ষুদিরাম বসুর ১৩১ তম জন্মবার্ষিকীতে পূর্ব পরিকল্পিত মিছিল আছে। হলদিয়া টাউনে ‘দাদার অনুগামী’-দের ব্যানারে মিছিল হবে। তবে দুঁদে রাজনীতিবিদ শুভেন্দু সম্ভবত সেখান থেকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করবেন না। ঠিক যেমন গত রবিবার মহিষাদলে প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী রণজিৎ বয়ালের স্মরণসভায় কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করেননি। তবে মঙ্গলবার রাতে শুভেন্দুর ‘মানভঞ্জন’ হয়েছিল বলে যেভাবে তৃণমূলের তরফে ‘উচ্ছ্বাস’ প্রকাশ করা হচ্ছিল, ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে তা ‘বিষাদ’-এ পালটে গিয়েছে। দমদমের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়কে হোয়্যাটসঅ্যাপে শুভেন্দু জানিয়েছেন, ‘একসঙ্গে কাজ করা মুশকিল’। তিনি 'ক্ষমা'-ও চান বলে সূত্রের খবর। তৃণমূলের অন্দরের খবর, ‘শুভেন্দু বলেছেন, তিনি যে সমস্যাগুলি তুলে ধরেছিলেন, সেগুলির সমাধান না করে এবং তাঁকে কথা বলতে না দিয়ে সংবাদমাধ্যমে দলের নেতারা মিথ্যা দাবি করছেন। সেই পরিস্থিতিতে তাঁর পক্ষে দলে একসঙ্গে কাজ করা কঠিন।’গত ২৪ ঘণ্টায় শুভেন্দু-পর্ব নাটকীয় পটপরিবর্তনের সাক্ষী থাকলেও প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি প্রাক্তন পরিবহনমন্ত্রী। ফোনেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ধন্দে রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর-সহ বিভিন্ন জেলার শুভেন্দুর সমর্থক এবং বিরোধী শিবির। প্রকাশ্যে মুখ না খুলে মেপে পা ফেলছেন নেতারা। শুভেন্দু কী বার্তা দেন, সেদিকে তাকিয়ে আছেন ‘দাদার অনুগামীরা’। আবার তৃণমূলের শীর্ষস্তরের তরফে বার্তার অপেক্ষা করছেন শুভেন্দু-বিরোধী হিসেবে পরিচিত নেতারা।শুভেন্দুর এক ঘনিষ্ঠ নেতা জানিয়েছেন, তাঁদের আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে। কারণ এখনই সম্ভবত সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলবেন না শুভেন্দু। ৬ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে তিনি কিছু বলতে পারেন। তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন, শুভেন্দুর ‘অরাজনৈতিক’ সভা এবং ‘বড় সিদ্ধান্ত’-এর দিকেে নজর রাখা হচ্ছে। তার ভিত্তিতে মমতার সভার দিনক্ষণও পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।