স্কুল শিক্ষকদের ছুটি নিয়ে এবার কড়াকড়ি শুরু করল স্কুলশিক্ষা দফতর। এই দফতর এবার সরাসরি সরকারি স্কুলগুলিকে জানিয়ে দিয়েছে, প্রধান শিক্ষকের আগাম অনুমতি ছাড়া ছুটি নিতে পারবেন না স্কুলের শিক্ষক–শিক্ষিকারা। এই ঘটনায় বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে শিক্ষক–শিক্ষিকারা। কেন ছুটি নিতে চাইছেন শিক্ষক বা শিক্ষিকা? এই প্রশ্নে উপযুক্ত কারণ এবং নথ📖ি জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নানা চর্চা শুরু হয়েছে। দরকার থাকলে কি ছুটি নেওয়া যাবে না? ছুটি তো অধিকার। সেটা কি এভাবে কেড়ে নেওয়া যায়? এমন সব প্রশ্নও তুলছেন শ☂িক্ষক–শিক্ষিকারা।
এদিকে কদিন আগেই সব স্কুল এবং মাদ্রাসার প্রধানদের ছুটি নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যেখানে এই নির্দেশগুলি রয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখার পর প্রত্যেক শিক্ষক–শিক্ষিকার কাছে সেটা চলে এসেছে। তখন থেকেই আলোচনা চলছে স্কুলগুলির টিচার্স রুম♊ে। কান পাতলে শোনা যাচ্ছে ক্ষোভের আঁচ। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের পক্ষ থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে অবশ্যই সেটা স্কুলশিক্ষা দফতরের নির্দেশে। তারপরই সেই চিঠি সব স্কুলে ও মাদ্রাসায় পৌঁছে যায়। এই আলোচনা এবার বাইরে চলে এসেছে। শিক্ষক– শিক্ষিকারা বিষয়টি নিয়ে তাঁদের সংগঠনে জানাতে চলেছেন। তাতে কোনও লাভ হবে কিনা এখন সেটাও দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গের প্রার্থী তালিকা নিয়ে বৈঠক হলেও অধরাౠ চূড়ান্ত নাম, আর কত সময় লাগবে?
অন্যদিকে গত ১৪ মার্চ জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে যাওয়ার সময় হঠাৎ ফণীন্দ্রনাথ দেব ইনস্টিটিউশন পরিদর্শন করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তখন সেখানে ঢুকে বিচারপতি জানতে পারেন ৪৫ জন শিক্ষক এই স্কুলের। তার মধ্যে ১২ জন শিক্ষক–শিক্ষিকা সেদিন অনুপস্থিত। এটা দেখে চমকে যান বিচারপতি। স্কুলে🤪 যদি শিক্ষক–সিক্ষিকাই না আসেন তাহলে ছাত্রছাত্রী উৎসাহ পাবে কেমন করে! পড়াশোনা তো লাটে উঠবে। সিলেবাস শেষ হবে না। ♌এমনকী স্কুলছুট বাড়তে থাকবে বলে আশঙ্কা করতে থাকেন বিচারপতি।