নন্দীগ্রামে যাওয়ার আগে বিজেপির অভিনন্দন যাত্রা আটকাল পুলিশ। তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, পুলিশ বিজেপি কর্মীদের উপর লাঠি চালিয়েছে। এনিয়ে অবশ্য পুলিশের কোনও অবশ্য প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) সমর্থনে আজ নন্দীগ্রামে অভিনন্দন যাত্রা ছিল বিজেপির। নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া মোড় থেকে তা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে টাঙ্গুয়ার পরিবর্তে চণ্ডীপুর থেকে মিছিল শুরু হয়। ছিলেন দিলীপবাবুও। নন্দীগ্রামের আগেই খোদামবাড়িতে সেই মিছিল আটকায় পুলিশ। তাদের দাবি, মিছিলের জন্য অনুমতি নেওয়া হয়নি। বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে গেলে দু'পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তবে মিছিলকে এগোতে দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে সেখানেই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, 'আমরা তো ব্যারিকেড ভাঙতে আসিনি। সরকার ভাঙতে এসেছি। এখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকেছিল সিপিআইএম। তারপর উনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। আজ আমায় আটকানো হল, বুঝতেই পারছেন কী হবে। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে।'মিছিল আটকানোর জন্য পুলিশকেও বেয়াত করেননি দিলীপবাবু। তিনি বলেন, 'পুলিশের যত বীরত্ব বিজেপির বিরুদ্ধে। কারণ বিজেপি কর্মীরা আইন ও সংবিধান মেনে চলেন। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা আইন না মানলে কিছু হয় না।'পাশাপাশি, শুভেন্দু অধিকারীর দুর্গে দাঁড়িয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ককে আক্রমণ করেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, '২০২১ সালে কোথায় দাঁড়াবেন ঠিক করুন। কারণ এখানে দাঁড়ালে আমরা হারিয়ে দেব।'