পোলিও প্রতিরোধে শূন্য থেকে ৫ বছরের শিশুদের দু ফোঁটা করে পালস পোলিও খাওয়ানো হয়। কিন্তু, দু ফোঁটার পরিবর্তে শিশুর মুখে ঢেলে দেওয়া হল পুরো এক শিশি পোলিও ড্রপ। যার জেরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ল শিশু। এমন গুরুতর অভিযোগকে কেন্দ্র ♓করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত অসুস্থ শিশুকে ভরতি করা হয় হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির মাল মহকুমার ক্রান্তি ব্লকে। এই ঘটনায় স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শিশুর বাবা-মা। একইসঙ্গে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তদ൲ন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। একজন স্বাস্থ্যকর্মী কীভাবে কাজে এত গাফিলতি করলেন? তাই নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়।
আরও পড়ুন: ২০১৪-তে ভারতকে পোলিয়োমুক্ত ঘোষণা, 𝓀এবা কলকাতার মেটিয়াবুরুজে জীবাণুর🍬 হদিশ: রিপোর্ট
জানা গিয়েছে, গতকাল রবিবার এলাকায় শিশুদের পালস পোলিও দেওয়া হয়। সেখানে ৪ বছরের শিশুকে পোলিও দিতে নিয়ে গিয়েছিলেন তার মা। অভিযোগ, দু ফোঁটা পোলিও খাওয়ানোর নিয়ম থাকলেও স্বাস্থ্যকর্মী পুরো এক শিশির পোলিওর ড্রপ শিশুর মুখে ঢিলে দেন। তাতে আপত্তি জানিয়েছিলেন শিশুর 🀅মা। তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তবে স্বাস্থ্যকর্মী তাকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে কোনও সমস্যা হবে না। এরপরে ঘটে বিপত্তি। শিশুকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরেই প্রচন্ড জ্বর চলে আসে। পরে তিনি তার স্বামীকে ফোন করে বিষয়টি জানান। এরপর শিশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভরতি করা হয় মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। এখনও সেখানে ভরতি রয়েছে ❀শিশুটি।
এদিকে এই ঘটনার পরেই স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন শিশুর পরিবারের সদস্যরা। ঘটনায় শিশুর বাবা ক্রান্তি ফাঁড়িতে স্বাস্থ্য কর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এমন ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অন্যান্য শিশুর অভিভাবকরাও। জেলাশাসক সামা পারভিন জানিয়েছেন, এ বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটল? তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। শিশুর পরিবারের অভিযোগ, স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছিল এতে বড় কিছু সমস্যা কিছু হবে 𒅌না। খুব বেশি হলে বমি হতে পারে। কিন্তু, শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় এর জন্য স্বাস্থ্যকর্মীকে তারা দায়ী করেছেন।