প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুন করার পর পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য চেষ্টার কসুর করেননি স্ত্রী। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। স্বামীকে খুন করার অপরাধে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত। ২০১৫ সালের অক্টোবরের ওই ঘটনার সাজা ঘোষণা হল ৯ বছর পর।জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান কালনার উত্তর গোয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা রতন দাস। ৩ দিন পর এলাকা থেকেই তাঁর পচন ধরা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে স্বামীকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন স্ত্রী ঝুম্পা। পুলিশকে তিনি জানান, একাধিক ব্যক্তি তাঁর স্বামীর কাছ থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার জিনিস ধার নিয়েছিল। সেই টাকা শোধ নিয়ে বিবাদের জেরে রতনবাবুকে কেউ খুন করে থাকতে পারে।ওদিকে রতনবাবুর কাকিমা পুলিশকে বলেন, ঝুম্পার সঙ্গে স্থানীয় প্রবীর নামে এক ব্যক্তির বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। তার জেরেই ২ জনে মিলে খুন করেছে রতনকে। এমনকী যেদিন রতনবাবু নিখোঁজ হন সেদিন ঝুম্পা ও প্রবীরকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল।তদন্তে নেমে স্ত্রী ঝুম্পা ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করেন ২ অভিযুক্ত। জানান, রতনবাবুকে সরিয়ে একসঙ্গে জীবন যাপন করতে চেয়েছিলেন ২ জনে।এই ঘটনায় দীর্ঘ ৯ বছর বিচারপ্রক্রিয়া চলার পর বৃহস্পতিবার রায়দান করেছেন বিচারক। রায়ে অভিযুক্ত স্ত্রী ঝুম্পা ও তাঁর প্রেমিক প্রবীর ২ জনকেই যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক।