এক অপহরণের মামলায়🏅 এক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত। কিন্তু, আদালতের নির্দেশ মেনে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। সেই সক্রান্ত মামলায় আদালত অবমাননার অভিযোগে থানার আইসিকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠালেন বিচারক। যদিও পরে ব্যক্তিগত জামিনে মඣুক্তি পেয়ে যান আইসি। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের। পাঁশকুড়া থানার আইসি আশিস মজুমদারকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
আরও পড়ুন: ‘আপনি কি ভগবান!’ মারধরের মামলায় পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করে মন𒊎্তব্য বিচারপতির
জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় তৃণমূল নেতা কুরবান শা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত শীতল মান্নাকে অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সেই সংক্রান্ত মামলাতেই আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে আইসির বিরুদ্ধে। শীতল মান্নার বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে🀅 অপহরণের অভিযোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম নিশীথ চক্রবর্তী। তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার কিসমত কলোড়া এলাকার বাসিন্দা। ২০১৮ সালে তাকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় ৬ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। তার মধ্যে অন্যতম নাম ছিল শীতল মান্না। যদিও পরে নিশীথ মুক্তি পেয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, পাঁশকুড়ার বাসিন্দা এই শীতল মান্না। এই অপহরণের মামলায় আগেই ৫ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।♕ তবে তাদের অবশ্য জামিন হয়ে যায়। কিন্তু, শীতল মান্নাকে এখনও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। সে এখনও ফেরার রয়েছে। নিশীথ এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির আবেদন জানান আদালতে। তার ভিত্তিতে আদালত শীতলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়। কিন্তু, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তাকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। সেই সংক্রান্ত মামলায় আদালতের কাছে কোনও তথ্যও পেশ করেনি পুলিশ। এরপর আদালত আইসিকে সশরীরে হাজিরা দিতে বলে। কিন্তু তারপরও আদালতে হাজিরা দেননি আইসি। শেষে আইসির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। পরে আইসি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠান🦩োর নির্দেশ দেন। পরে অবশ্য ব্যক্তিগত বন্ডে তিনি মুক্তি পেয়ে যান।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর পাঁশকুড়ার মায়সোরা এলাকায় খুন হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা কুরবান শা। তারপরেই ফেরার হয়ে যায় শীতল। তার সঙ্গে গোলাম মেহেদি নামে আমি আরও এক অভিযুক্ত ফেরার হয়ে যায়। পরিবারের 🎉দাবি, অভিযোগ কুরবানকে পুলিশ💙 আড়াল করার চেষ্টা করছে। তাই তাকে গ্রেফতার করছে না।