মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে আলুর দাম। এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে না জানিয়ে যেন ভিন রাজ্যে যাতে কোনওভাবেই আলু রফতানি করা না হয় সেবღিষয়ে আন্তঃরাজ্য সীমান্তে প্রশাসনকে নজরদারি বৃদ্ধি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, তারপরও দেখা যাচ্ছে সেই নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই ভিন রাজ্যে যাচ্ছে লরি। নজরদারি নেই বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমান্তের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে। বিনা নজরদারিতেই ভিন রাজ্যে পারাপার হচ্ছে একের পর এক লরি। এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে ১৯ নম্বর জ🎐াতীয় সড়কে বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানায় ডুবুরডি চেক পোস্টে।
আরও পড়ুন: ‘দালাল🍨রꩲাই সমাজটাকে শেষ করছে, একে তাকে ভাগ দেয় ’ আলুর দাম বৃদ্ধি, রেগে আগুন মমতা
শুক্রবার ঝাড়খণ্ড সীমানায় ডুবুরডি চেকপোস্টে গিয়ে দেখা গেল সেখানেও কোনও রকমের নজরদারি নেই। কুলটি থানার পুলিশ কিংবা কুলটি ট্রাফিক গার্ড কেউই এ রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়া লরিগুলিকে পরীক্ষা করে দেখছে না। কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই এই রাজ্যের চেকপোস্ট থেকে সারসার লরি পেরিয়ে যাচ্ছে অন্য রাজ্যে। কিন্তু, কোথাও কোনও চেকিং নেই। ফলে লরিতে করে ভিন রাজ্যে আলু যাচ্ছে কিনা সেটাও বোঝার কোনও উপায় নেই। রমেশ কুমার নামে এক লরি চালক জানান, আমি কলকাতা থেকে বিহার যাচ্ছি। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত কোথাও লরি চেক করা হয়নি। এমনকী এই সীমান্তেও লরি চেক করা হয়নি। এম আনসারি নামে আরও এক লরি চালক একই কথা জানিয়েছেন। তবে সীমান্তে ঝাড়খণ্ড যাওয়ার রাস্তায় শুধুমাত্র একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার মোতায়েন রয়েছেন। তিনি ট্রাফিকের দায়িত্ব সামলাℱচ্ছেন। কিন্তু লরিতে কী আছে তা দেখা হচ্ছে না। তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কতটা মানা হচ্ছে? তাই নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠেছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি খাদ্য দফতরের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত হিমঘরে আলু রাখা যাবে। তার মধ্যে আলু বের করে নিতে হবে। এরপর গতকাল মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন বাজারে আলুর দাম বৃদ্ধি পাওয়া উদ্বেগ প্রকা♋শ করেছিলেন।নবান্ন থেকেই কড়া নির্দেশ দিয়ে মত প্রকাশ করেছিলেন, ভিনরাজ্যে সরবরাহের কারণেই বাংলায় আলুর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই ভিন রাজ্যে আলু সরবরাহ রুখতে প্রশাসনকে আরও নজরদারি বাড়াতে বলেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর জানিয়ে ছিলেন, ভিনরাজ্যে আলু পাঠানোর ক্ষেত্রে তাঁর কোনও আপত্তি নেই তবে রাজ্যের চাহিদা আগে পূরণ করতে হবে। তার পরে বাইরের রাজ্যে পাঠাতে হবে। তাছাড়া, তাঁকে না জানিয়েই আলু রফতানি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মমতা। এপর আন্তঃরাজ্য সীমানা দিয়ে আলু বাইরের রাজ্যে পাঠানোর ক্ষেত্রে নজরদারির নির্দেশ দেন। মনে করা হচ্ছিল মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরেই সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হবে। কি🐎ন্তু, সেই তৎপরতা দেখা গেল না।