বসিরহাটের জনসভা থেকে সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে সিবিআইয়ের ভূমিকায় বড় প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার বিজেপিকে সাত দফায় বাংলায় নির্বাচন করার জন্য গোহারা হারাবেন বলেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন অভিষেক। এমনকী ডায়মন্ডহারবারে ৪ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে বিজেপিকে পরাজিত করবেন বলে জানিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড। বাংলায় বিধানসভায় ৮ দফায় ভোট করিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এবার লোকসভা নির্বাচন বাংল🐷ায় হবে ৭ দফায়। বিধানসভা নির্বাচনে যেমন বিজেপি হেরেছিল, তেমন লোকসভা নির্বাচনেও গোহারা ♋হবে বিজেপি বলে বসিরহাট থেকে সদর্পে জানিয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে সন্দেশখালি ইস্যুকে সামনে রেখে বিজেপি নিজেদের পালে হাওয়া টানতে চেয়ে ছিল। সেটার জবাব আজ, বুধবার বসিরহাটের ময়দান থেকে দিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। বুধবার বসিরহাটে তৃণমূল কংগ্রেসের সভা থেকে অভিষেক বলেন, ‘সাত দফায় ভোট করছে। করোনাভাইরাসের সময় বলেছিল, কোভিড হচ্ছে বলে আট দফায় ভোট করাতে হচ্ছে। এখন কী হচ্ছে শুনি? এখন কোন অজুহাত, কী টালবাহানা? তামিলনাড়ু, কেরল, কর্নাটক, মহারাষ্ট্রে ক’দফায় ভোট হয়?’ এরপরই অভিষেকের বক্তব্য, ‘সন্দেশখালির উত্তম সর্দার, শিবু হাজরারা তো পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। তাহলে সিবিআই কেন তাಌদের নিজের হেফাজতে নিচ্ছে না? আজকে আমি বলে দিয়ে গেলাম। এবার হয়তো চারদিন পর নাটক করে ওরা হেফাজতে চাইবে।’
আরও পড়ুন: পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে টাকা বি🐻লির অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনে নালিশ শুভেন্দুর
অন্যদিকে সন্দেশখালি কাণ্ডের পর আজই প্রথম বসিরহাটে সভা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিজেপিকে নিশানা করে অভিষেকের নতুন চ্যালেঞ্জ, ‘আগের বার আট দফায় ভোট করেও গোহারꦡা হেরেছ❀েন। এবার সাত দফাতেও গোহারা হারবেন। সাত দফা, আট দফা, মানুষ আপনাদের বৈমাতৃসুলভ আচরণের জবাব দেবেন। আপনাদের বাংলা বিরোধী আচরণের প্রতিশোধ নেবেন মানুষ। এই নির্বাচন কেন্দ্রে সরকার নির্বাচিত করার নয়, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করারও নয়, এই নির্বাচন প্রতিরোধের, প্রতিশোধের এবং শিক্ষা দেওয়ার। বাংলা থেকে বাংলা বিরোধীদের শিকড় সমেত উপড়ে ফেলার নির্বাচন।’
এছাড়া কদিন আগে রাজনৈতিক নেতাদের সকলের গন্তব্য হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। অভিষেকের কথায়, ‘এই নেতারা কোথায় গেলেন? এখন আর ঘন ঘন সন্দেশখালি যাচ্ছেন না কেন? কারণটা তো স্পষ্ট। শাহজাহানকে গ্রেফতার করতেই সব চুপ। আর শাহজাহানকে ইডি গ্রেফতার করেনি। করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। তৃণমূলের কেউ যদি কারও সঙ্গে খারাপ করে, আর ভেবে নেয় যে। 🥃পঞ্চায়েতে জিতেছি বলে হাতির পাঁচ পা দেখব তাহলে তৃণমূল তাকে রেয়াত করে না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। সিপিএমের আমলে এমন একটা উদাহরণ দেখান তো। আর বিজেপি? ব্রিজভূষণ সিং, যাঁর বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিবিদদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ আছে তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছে। এবার ডায়মন্ডহারবারে ৪ লাখ ভোটের ব্যবধানে বিজেপিকে গ্যারেজ করব। এমন পরিমাণে ভোট দিন যাতে পদ্মফুল চোখে সরষে ফুল দেখে। গঙ্গার জলে ভাসিয়ে প্যাকেট করে দিল্লিতে পাঠাব।’