রাজ্য–রাজনীতিতে তোলপাড় করা একটা ঘটনা ঘটেছিল বেশ কিছুদিন আগে। একটি ভিডিয়ো টুইট করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে দেখা গিয়েছিল, তিনজন আদিবাসী মহিলা দণ্ডি কাটছেন। কারণ তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরছেন। তাই এই দণ্ডি কেটে তাঁরা প্রায়শ্চিত্ত করছেন বলে দাবি করেছিলেন সুকান্ত মজুমদার। আর তাতেই ঢি ঢি পড়ে যায় বালুরঘাটে। এবার এই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ওজামিন পেয়েছেন। যা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
তারপর দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের চার আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করানোর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে আলোড়ন পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। সুকান্ত মজুমদারের টুইট করা ভিডিয়ো–তে দেখা গিয়েছিল, মার্টিনা কিস্কু, শিউল✅ি মার্ডি, ঠাকরণ সরেন এবং মালতি মুর্মু নামে চার মহিলা বালুরঘাট শহরে দণ্ডি কেটে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়ে আসছেন। তবে এরপর দেখা গেল, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন দণ্ডি কাণ্ডে শিরোনামে আসা আদিবাসী গৃহবধূ শিউলি মার্ডি। তিনিই এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তপন পঞ্চায়েত সমিতির আসনে।
আর কী ঘটল এখন? এই দণ্ডি কাটার ছবি ভাইরাল হতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সেটাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করতে শুরু করেন। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। আর গতকাল শনিবার তিনি জামিন পেয়েছেন। তাঁকে জꦍামিন দিলেন বালুরঘাট জেলা ও দায়রা আদালতের প্রথম ক⛄োর্টের বিচারক অলি বিশ্বাস। যদিও এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ১ জুলাই। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে পুলিশ ধারা জোরাল দেয়নি বলেই জামিন পেয়েছেন প্রদীপ্তা।
আরও পড়ুন: গাড়ি ব্যবহারে নির্দেশিকা জার꧅ি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন, বাইক মিছিলে নিষেধাজ্ঞা
কেমন ধারা দেওয়া হয়েছিল? প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫ ও ৫০৯ ধারা এবং এসসি–এসটি প্রিভেনশন অফ এট্রোসিটি অ্যাক্টেও মামলা দায়ের করে পুলিশ। এই ꦫঘটনায় আগেই আনন্দ রায় এবং বিশ্বনাথ দাস নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করছিল পুলিশ। তাঁরাও জামিনে মুক্ত। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আদিবাসী মহিলাদের এমন অপমানের জন্য প্রদীপ্তার চরম সাজা পাওয়া উচিত। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে জোরাল মামলা দেয়নি। তাই তিনি জামিন পেলেন।’ পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহ–সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, ‘অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দল আগেই ব্যবস্থা নিয়েছে। এখন বিষয়টি বিচারাধীন।’