বিজেপির কাউন্সিলর থেকে দল বদলে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা হয়েছিলেন। কিন্তু, রোজগার বলতে তেমন কিছুই ছিল না। যার জেরে শুরু হয় পারিবারিক অশান্তি। আর, তার ফলেই নাকি দ্বিতীয় স্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে খুন হতে হয় বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর ভগীরথ দাসকে। রামপুরহাট🌃 থানার পুল🦩িশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
ভগীরথের ভাই গঙ্গাধর দাস সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের জানিয়েছেন, কাউন্সিলরের পদ হারানোর ফলেই তাঁর দাদার সংসারে অশান্তি শুরু হয়! গঙ্গাধরের দাবি, ইদানীং তাঁর দাদা কোনও রোজগার করতেন না। তাহলে কি আগে ভালো রোজগার করতেন? সরাসরি এ নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও গঙ্গাধর জানান, আগে যেহেতু তাঁর দাদা এলাকার কাউন্সিলর ছিলেন, তাই সংসারেও কোনও সমস্যা ছিল না। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের পুরনির্বাচনে বিজেপির টিকিটে রামপুরহাট পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ভোটে লড়ে জয়ী হয়েছিলেন ভগীরথ। পরবর্তীতে তৃণমূলে নাম লেখালেও আর কাউন্সিলর হতে পারেননি। এদিকেꦛ, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির পদ হারানোর পর থেকেই ভগীরথের সংসারে আর্থিক অনটন শুরু হয়। দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে নিত্য ঝামেলাও চলতে থাকে। তারই নাকি চূড়ান্ত পরিণতি ঘটে সোমবার রাতে!
গঙ্গাধর জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরেই মনসা পুজো নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন ভগীরথ। সোমবার ছিল পুজোর মণ্ডপ খোলার দিন। ভগীরথ সেই কাজ করছিলেন। তারই মাঝে ভগীরথের দ্বিতীয় স্ত্রী তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে তারাপীঠ বেড়াতে চলে যান। ব༺িকেলে বাড়ি ফিরে ভগীরথ দেখেন, ফটকে তালা। ফলে সেই সময় বাড়িতে ঢুকতে পারেননি তিনি। পরে স্ত্রী বাড়ি ফিরলে এ নিয়ে দম্পতির মধ্যে ঝামেলা হয়। এর কিছুক্ষণ পর গঙ্গাধর জানতে পারেন, তাঁর দাদা ঘরের ভিতর অচܫেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন! আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের সাহায্যে ভগীরথকে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান গঙ্গাধর। সেখানেই চিকিৎসকরা ওই প্রাক্তন বিজেপি কাউন্সিলর তথা হালের তৃণমূল নেতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।