cজাহাজবাড়ি বিখ্যাত। এটা দেখতে বহু পর্যটকও আসেন। কিন্তু এই বাড়িটি নিলাম হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। কারণ ৪৯ লক্ষ টাকা ঋণ শোধ করা হয়নি বলে অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ সুফিয়ানের জাহাজবাড়ি এখন দখল নিতে চাইছে কন্টাই কো–অপারেটিভ ব্যাঙ্ক। এমনকী বিষয়টি নিয়ে তমলুকে এআরসিএস কোর্টে মামলা দায়ের করতে চলেছে ব্যাঙ্ক।🔯 ব্য▨াঙ্ক সূত্রে খবর, ওই জাহাজবাড়ি মর্টগেজ রয়েছে। ঋণের টাকা শোধ করার জন্য নোটিশ পাঠানোর সব প্রক্রিয়া শেষ। কিন্তু সাড়া দেননি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ সুফিয়ান। তাই আইনি পথে এবার জাহাজবাড়ির দখল নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? এদিকে ২০💧১৪ সালে নন্দীগ্রামে জাহাজবাড়ি গড়ে তুলতে কন্টাই কো–অপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে ২৫ লক্ষ টাকা ঋণ নেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ সুফিয়ান। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত নিয়মিত ইএমআই দেন তিনি। কিন্তু তারপর থেকে আর টাকা দিচ্ছেন না। গত ২০ মাস এক টাকাও দেননি। বকেয়া ঋণের পরিমাণ সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা। আবার ট্রলার কেনার জন্য ওই ব্যাঙ্ক থেকেই ২০২০ সালে ২৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন সুফিয়ান। সেটার একটিও ইএমআই দেননি। এখন আসল ২৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং আরও ৯ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা বাকি। আর সুদ যোগ করলে ব্যাঙ্কের পাওনা ৪৯ লক্ষ টাকা।
তারপর ঠিক কী ঘটেছে? অন্যদিকে শেখ সুফিয়ান এখন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্🦋ষনেতা। তাছাড়া একুশের বিধানসভা নির্বাচনে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজেন্ট ছিলেন। তাঁর দু’টি ঋণই এখন এনপিএ হয়ে রয়েছে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ একাধিবার শেখ সুফিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু বকেয়া টাকা মেলেনি। গত ১৭ এপ্রিল ঋণ শোধ করার জন্য একমাসের সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে ছিল ব্যাঙ্কের আইনি নোটিশ। তখন পাল্টা ব্যাঙ্কে একটি নোটিশ পাঠান সুফিয়ান। তাঁর দাবি, ব্যাঙ্কে তাঁর কো🅺নও ধার নেই। এটা তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার কৌশল। ইতিমধ্যেই সুফিয়ানের ট্রলার সিজ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন ব্যাঙ্ক অফিসাররা বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: বাথরুমে গিয়ে জল পেলেনဣ ꧟না বিধায়করা, বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীনই জলসংকট
আর কী জানা যাচ্ছে? কয়েকদিন আগে কন্🎀টাই কো–অপারেটিভ ব্যাঙ্কে বোর্ড অব ডিরেক্টরের সভা বসে। সেখানেই এআ🎐রসিএস কোর্টে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তমলুক এআরসিএস কোর্টে চলতি সপ্তাহে মামলা হতে চলেছে। জাহাজবাড়ি দখল নেওয়ার আইনি প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। ব্যাঙ্ক আমানতকারীদের জমানো টাকা থেকে ঋণ দেয়। সেটা শোধ না করলে বিপদে পড়তে হয় ব্যাঙ্ককে। তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, ৪৯ লক্ষ টাকা পেতে সুফিয়ানের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তা নিলামে তুলে টাকা উদ্ধার করা হবে। যদিও শেখ সুফিয়ান বলেন, ‘ব্যাঙ্ক অতিরিক্ত দু’বছরের সুদ চাপিয়েছে। সেটা নিয়ে আপত্তি আছে। ব্যাঙ্ক তার মতো করে সিদ্ধান্ত নিক।’