রঙের উৎসবের দিন বসন্ত উৎসব হয়নি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাই এখানের পড়ুয়ারাই নিজেদের মতো করে তা পালন করে। আর স্লোগান তোলেন, উপাচার্য হঠাও। দীর্ঘদিনের রীতি ভেঙে গিয়েছে এখানে। এবার বিশ্বভারতীতে বন্ধ বসন্ত উৎসব। এই পরিস্থিতি নিয়েই এবার উপাচার্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যা♕য়।
আজ, শনিবার তারাপীঠে পুজো দিতে আসেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদে🃏ব চট্টোপাধ্যায়। দোলের সময় মন্ত্রী এখানে এসে জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পছন্দ করেন না দোলের সময় জনপ্রতিনিধি অন্যত্র যান। তবে তাঁর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তারাপীঠে এসেছেন তিনি। আবার এখানে আসার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।
ঠিক কী বℱলেছেন কৃষিমন্ত্রী? এখানে এসেই মন্ত্রী শুনতে পান বিশ্বভারতীতে বন্ধ রয়েছে বসন্ত উৎসব। তাতেই প্রচণ্ড চটে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তারাপীঠে আসার পরই শুনলাম বিশ্বভা﷽রতীতে বন্ধ রয়েছে বসন্ত উৎসব। আমি শুনলাম উপাচার্য বীরভূমের বাসিন্দা। বীরভূমের মানুষ হয়ে বীরভূম তথা গোটা বাংলার ঐতিহ্য, আকর্ষণকে বন্ধ করে দিয়ে নিজের জেদকে কার্যকর করেছেন তিনি। পাশাপাশি হাজার হাজার মানুষের জীবিকা বন্ধ করে দিয়েছেন। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের।’
উল্লেখ্য, বসন্ত পঞ্চমীর দিন ১৯০৭ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট ছেলে শমীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঋতু উৎসবের সূচনা করেছিলেন। সেই থেকে এখানেౠ বসন্ত উৎসব হয়ে আসছে। মাঝে দুটো বছর করোনাভাইরাসের জন্য এটা বন্ধ ছিল। আর এবার যখন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে তখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয়নি বসন্ত উৎসবের। আর তাতেই চটেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।