একদিন আগেই বিজেপি নেতাদের মেরে দাঁত-হাত-পা ভেঙে দেওয়ার নিদান দিয়েছিলেন মালদা জেলার মালতিপুরের তৃণমূল বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সী। সেই বিধায়ক ফের বেলাগাম হয়ে বিজেপিকে বললেন বিষধর সাপ। লাঠি দিয়ে মেরে দাঁত ভেঙে দেওয়ারও দাওয়াই বাতলালেন মালদা জেলা সভাপতি রহিম বক্সী। সোমবার তিনি শুভেন্দু অধিকারী এবং অধীর চৌধুরীকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। এদিন দলের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ যখন কোনও বিষধর সাপ আমাদের বাড়িতে বেরিয়ে পড়ে, বা যখন কোনও বিষধর সাপ গ্রামে বেরিয়ে আসে। তখন আমরা গ্রামের মানুষরা লাঠি হাতে বসে থাকি, তাকে না মেরে ফেলা পর্যন্ত আমরা শান্তিতে থাকি না। আমরা জানি বিষধর সাপ দংশন করলে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। যারা বিষধর গোখরো সাপ নিয়ে খেলা দেখিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করছে, সেই বিষধর সাপের দাঁত বাংলার মানুষ ভেঙে দেবে।’নাম না করে এদিন বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু আধিকারিকে নিশানা করেন মালতিপুরে তৃণমূল বিধায়ক। তিনি মীরজাফর প্রসঙ্গ তুলে বলেন, 'মীরজাফর রবার্ট ক্লাইভকে সাহায্য করেছিল নবাব সিরাজদৌল্লাকে হারাতে। সেই জন্য মীরজাফর বিশ্বাসঘাতকের নাম। মীরজাফর যদি সুযোগ না দিত তাহলে ইংরেজরা আমাদের দেশে পা দিতে পারত না। ২০০ বছর ধরে ইংরেজরা পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতবর্ষের শাসন করতে পারত না। সেই ধরনের কিছু মীরজাফর পশ্চিমবঙ্গের বুকে নতুনভাবে জন্মগ্রহণ করেছেন। নতুন নতুন নামে টিভিতে পর্দায় বড় বড় কথা বলে বলছেন। পশ্চিমবঙ্গটাকে তারা দখল করবেন! বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের একটা জনপ্রিয় সরকার ও মমতা ব্যানার্জিকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য জন্ম নিয়েছেন কিছু মীরজাফর। আবার একটা রবার্ট ক্লাইভের নতুনভাবে জন্ম হয়েছে গুজরাটে। সেই রবার্ট ক্লাইভকে হাত ধরে নিয়ে আসছেন পশ্চিমবঙ্গের বুকে।’একই সঙ্গে তিনি নাম করে অধীর চৌধুরীকে নিশানা করে বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোটের জন্ম হওয়ার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে কিছু দালালেরও জন্ম হল। মুখ্যমন্ত্রী যখন বিরোধীদের একত্রিত করার জন্য ছুটছেন, যা দেখে বিজেপি ভীত-সন্ত্রস্ত। সেই সময় কংগ্রেসের এক বন্ধু বাড়ি যার বহরমপুরে, তিনি কংগ্রেসের নেতা হিসেবে দাবি রাখেন, তিনি দালালি করেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলেন। তিনি বিজেপির সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছেন। তিনি বিজেপির এক নম্বর দালাল বলে আমরা মনে করি। ’তিনি এও বলেন অধীর গ্রামে গ্রামে এজেন্ট ছেড়ে দিয়েছেন, যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন।’