দলেরই এক মহিলা কর্মীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের বিরুদ্ধে। তবে সেই অভিযোগ খারিজ করেছেন বꦆিধায়ক। তিনি দাবি করেছেন, দলকে অস্বস্তিতে ফেলতেই ওই মহিলা মিথ্যা দাবি করছেন। এছাড়াও অভিযোগকারিণী মহিলার বিরুদ্ধে পাল্টা আঙুল তুলেছেন দলের কিছু মহিলা তৃণমূল কর্মী। তাদের দাবি, বিধায়কে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পালটা অভিযোগকারিণী মহিলাও সাংবাদিক বৈঠক করে বিধায়কের স্বভাব চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
আরও পড়ুন: 💫‘স্যার বললে সরকারি আধিকারিকরা মাথায় ওঠেন’, কী বললে কাজ হবে বলে দিলেন TMC বিধায়ক
এই অভিযোগ সামনে আসতেই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চকবাজার দেবীপার্কে পোস্টার পড়ে । তাতে লেখা ছিল, ‘বিধায়ক হটাও চুঁচুড়ার নারীদের সম্মান বাঁচাও।’ এছাড়া আরও বেশ কয়েক জায়গায় এই পোস্টার দেখা যায়। বৃহস্পতিবার শহরের খাদিনা মোড়ে বিধায়কের দলীয় কার্যালয়ে কিছু মহিলা তৃণমূল কর্মী সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগকারিণী মহিলার দিকে আঙুল তোলেন। যদিও মহিলা এখনও পর্যন্ত💯 থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে এমন ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে।
তবে গত কয়েক মাস ধরেই চুঁচুড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে। পুরো প্রধানের বিরুদ্ধে দলেরই꧂ কিছু কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। এখন সেই ঘটনার সঙ্গেই অভিযোগকারিণী মহিলার যোগসূত্র টেনে আনছেন বিধায়ক। তিনি দাবি করেছেন পুর প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতেই দলকে অস্বস্তিতে ফেলতে এখন তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে, মহিলা দাবি করেছেন তিনি পুরসভার অস্থায়ী কর্মী হলেও বিধায়কের বাড়িতে আগে কাজ করতে যেতেন। মাস কয়েক আগেই সেই সময় বিধায়ক তাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। তারপর তিনি সেখানে যাওয়া ছেড়ে দিয়ে বর্তমানে তিনি পুরসভা পরিচালিত স্কুলে কাজ করছেন। যদিও বিধায়ক দাবি করেছেন, যে ৬ মাস আগে তাঁর বাড়িতে চুরি করতে 𒈔গিয়ে ওই মহিলা ধরা পড়েছিল। কিন্তু, তাঁকে পরিবারের কথা ভেবে পুলিশের হাতে না তুলে দিয়ে ছেড়ে দেন।
এ বিষয়ে তৃণমূলের বক্তব্য, পুরসভায় মহিলা অভিযোগ জানালে সেটা খতিয়ে দেখা হবে। অন্যদিকে, বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, তৃণমূলের মহিলা কর্মী▨রাই দলের নেতাদের কাছে নিরাপদ নন। তারাই আবার আরজি কর কাণ্ড🐼ে ফাঁসির দাবিতে পথে নামছেন।