এবার বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক ইদ্রিশ আলি। পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে গেলেও এখনও এটাই রাজ্য–রাজনীতির চর্চার বিষয় হযে উঠেছে। তাঁর দাবি, ‘ফেলো কড়ি, পাও পঞ্চায়েতের পদ’ নীতি চলছে দলে। অর্থাৎ টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতের পদ বিলি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। আর এমন অভিযোগ তুলে দেওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এই পঞ্চায়েতের পদ বলে দাবি ভগবানগোলার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের। সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনের আসন বন্টন নিয়ে আগে স✱রব হয়েছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এবার ইদ্রিশ আলি।
এদিকে ‘৩০–৪০ লক্ষ টাকায় বিলি হচ♎্ছে পঞ্চায়েতের পদ’, এই কথাটি উচ্চারণ করেই আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। ভগবানগোলা–২ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন ইদ্রিশ আলি। টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েত সভাপতির নাম বদলে দেওয়ার অভিযোগ তুললেন ইদ্রিশ আলি। টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতে পদ বিক্রির অভিযোগ তাঁর। ইদ্রিশ আলি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর একটু সময় দিলে এসব বন্ধ করা যেতে পারত।’ হঠাৎ এমন মন্তব্য করে নেত্রীকে জড়িয়ে দিয়েছেন এই বিধায়ক। ফলে বেশ বিড়ম্বনায় পড়েছে রাজ্য নেতৃত্ব। দলীয় নেতৃত্ব ব্যবস্থা না নিলে এটার ফল ভুগতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক।
কী বলছেন তৃণমূল বিধায়ক? অন্যদিকে এই মন্তব্য নিয়ে এখন দলের অন্দরেও চর্চা হতে শুরু করেছে। কারণ সংবাদমাধ্যমে ইদ্রিশ আলি বলেন, ‘দলের উপরতলা থেকে নাম আসে। বিধায়ক ও ব্লক সভাপতি মিলে আমরা নাম ঠিক করে দিই কে কোন পদ পাবেন। কিন্তু হঠাৎ দেখা গেল, কর্মাধক্ষ্যের নাম বদলে🍃 গিয়েছে। অভিযোগ আসছে, এসব টাকার বিনিময়ে হচ্ছে। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া পদক্ষেপ করছেন। দোষীদের শাস্তি হচ্ছে, প্রধানদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমি মনে করি যারা এভাবে পদ পেয়েছেন তাদের সরিয়ে দেওয়া দরকার। আমি লিখিত অভিযোগও করেছি। আমার মনে হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়–অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি আরও একটু সময় দেন তা হলে এগুলি ঠিক হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: ‘ভাল থেকো রাজনীতি, আর ন𓆏য়, দাও বিদায়’, বিজেপি ছাড়ার ঘোষণা প্রলয় ꦆপালের
ঠিক কী বলছে তৃণমূল? ব্লক সভাপতিরা লাখ লাখ টাকা নিয়ে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন পদ বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ ইদ্রিশের। এই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘উনি কোন প্রেক্ষিতে ওইসব কথা বলেছেন তা জানি না। কিন্তু একটা কথা বলতে পারি এটা তৃণমূল কংগ্রেসের কালচার নয়। এটা বিজেপির কালচার। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায় নিজেই বলেছেন কামিনী কাঞ্চনের বিনিময়ে তাদের টিকিট বিলি হয়। অর্থের বিনিময়ে কাউকে টিকিট দেওয়ꦅা বা পদ দেওয়া এটা তৃণমূলে হয় না।’ তবে বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, ‘ওঁকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তৃণমূল ওঁকে গ্রহণ করেছে। হয়তো কোনও কারণে একটু রাগ হয়েছে। তাই এসব বলেছেন। একটা সত্য সামনে এসেছে।’