লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে উঠেছে। এই অবস্থায় ভোটারদের দরবারে গিয়ে ভোট চাইতে শুরু করেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। ঠিক সেই আবহে দলীয় কর্মিসভায় মন্তব্য করতে গিয়ে দলকে অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগণার জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী। তিনি বলেছেন, ‘দলীয় কর্মীরা ভোট চাইতে লজ্জা পাচ্ছেন।’ তাঁর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এ নিয়ে পালটা তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুনঃ ‘তফসিলি সম্প্র✱দায়ের মানুষের দেহের রং দিয়ে বোঝা যায়’, বিধায়কের মন্তব্যে বিতর্ক
একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তৃণমূল বিধায়ককে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘বাদাম বিক্রেতা যদি সম্মান নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে বাদাম নিয়ে চুপ করে বসে থাকেন তাহলে বাদাম বিক্রি হবে না। ঠিক একইভাবে তৃণমূল কর্মীরা চুপ করে বসে থাকলে হবে না। কিন্তু, তৃণমূল কর্মীরা পাড়ার লোককে গিয়ে বলতে লজ্জা পাচ্ছেন যে তৃণমূলে ভোট দিন।’ নারায়ণ গোস্বামীর এমন মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার অশোকনগরের রাজীবপুর-বিড়া এলাকায় হাবড়া ২ ব্লক তৃণমཧূলের তরফে একটি কর্মিসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে তিনি দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করেন।
যদিও নারায়ণ গোস্বামী দাবি করেছেন, তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তিনি আসলে দলের কর্মীদের উৎসাহিত করতে চেয়েছিলেন। তাঁর মতে, কিছু দলীয় কর্মীর নিষ্ক্রিয়তার জন্য হার হয়। তার মানে এই নয় যে তৃণমূল খারাপ। যদিও প্রশ্ন উঠছে তৃণমূল কর্মীরা😼 কেন ভোট চাইতে লজ্জা পাচ্ছেন? সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য দেননি নারায়ণ গোস্বামী। তবে সম্প্রতি🎐 শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, কয়লা পাচার, গরু পাচার কাণ্ড নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে তৃণমূলকে। তার ওপর রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সন্দেশখালির ঘটানা নিয়েও অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল। তাহলে কি এই সমস্ত কারণে তৃণমূলের কর্মীরা ভোট চাইতে লজ্জা পাচ্ছেন? তাই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।