মাথায় টাক পড়লে কত না লোকের মুখ ঝামটা শুনতে হয়। আর এবার সেই টাক মাথার লোকেরা ‘আসল’ কদর পেলেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক শওকত মোল্লার কাছে। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর সন্ধ্যায় ধুমধামꦆ করে আয়োজন করলেন ‘টাক সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানের। সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে ১০০ জনের হাতে গোলাপ ফুল এবং উপহার তুলে দেওয়া হল। আর এটা তো সবে শুরু। ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক দাবি করেছেন, ভবিষ্যতে তো প্রতিযোগিতা করারও ভাবনা আছে। কীসের ভিত্তিতে সেই প্রতিযোগিতার জয়ী নির্ধারণ করা হবে, তা অবশ্য খোলসা করে বলেননি তৃণমূূল বিধায়ক। যাঁর মাথা যত গড়ের মাঠ, তিনিই প্রথম হবেন কিনা, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
আজ আর টাঁকের জন্য খোঁটা শুনতে হল না
তবে তৃণমূল বিধায়ক যে নয়া তত্ত্বের ‘আবিষ্কার’ করেছেন, তাতে বেশ শ♌োরগোল পড়ে গিয়েছꦑে। যে টাক মাথার লোকেদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে, তাঁরা তো খুব খুশি হয়েছেন। চিরকাল টাকের জন্য খোঁটা শুনে কাটাতে হয়েছে। আর সেই টাকই কিনা তাঁদের সংবর্ধনা পাইয়ে দিল ভেবেই মুখের হাসির চওড়া হয়েছে তাঁদের।
‘যত টাক, তত বুদ্ধি’, নয়া তত্ত্ব শওকতের
আর সেই টাক তত্ত্বের ‘আবিষ্কার’ নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘আজ আমরা একটা বিশেষ প্রোগ্রাম করেছিলাম। যাঁদের মাথায় চুল কম, যে লোকেদের টাক মাথা, (তাঁদের জন্য সেই অনুষ্ঠানඣের আয়োজন করা হয়েছিল)। আমাদের দুটি অঞ্চল মিলিয়ে প্রচুর এরকম মানুষ আছেন। যাঁদের মাথায় চুল কম, তাঁদের বুদ্ধিও বেশি হয়। সেই কারণে আমরা সেই সমস্ত মানুষকে আজ ডেকেছিলাম। আজ বিজয়া (সম্মিলনীর) পরে তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের হাতে একটা গোলাপ ফুল এবং সামান্য উপহার তুলে দেওয়া হয়েছে।’
শওকতের অবশ্য মাথাভরতি চুল
শওকত দাবিꦬ করেন, সমাজের উঁচুস্তরের মানুষদের অনেকেই টাক থাকে। তাই টাক মাথাদের বাড়তি কদর করছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘যাঁদের মাথায় কম চুল থাকে, তাঁরা একটু বেশি বুদ্ধিমান হন। তাঁরা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হন।’ যদিও শওকতের নিজের মাথাভরতি কালো চুল।
জুনিয়র ডাক্তারদেরও খোঁচা শওকতের
তিনি যে টাক সংবর্ধনা চালু করেছেন, তাতে যে নতুনত্ব আছে, সেটা নিজেই জানিয়েছেন শওকত। আর সেই রেশ ধরেই খোঁচা দিয়েছেন আন্🐻দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের। তিনি দাবি করেছেন, আগে শুধুমাত্র দুর্গাপুজোর কার্নিভাল হত। এখন দ্রোহের কার্নিভাল হচ্ছে। নতুন-নতুন সব ব্যাপার হতে শুরু করেছে। আ🦩র টাক সংবর্ধনাও একটা নতুন ব্যাপার।