বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। সেখানে দেশজুড়ে বিজেপি হটানোর ডাক দেওয়া হয়েছে। বিরোধী দলগুলি একজোট হতে চলেছে। আর তাই ১২ জুন পাটনায় বিরোধী দলগুলির বৈঠক বসতে চলেছে। সেখানে বাংলায় অধীররঞ্জন চৌধুরী তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে ডাক দিয়েছেন। আর আজ, সোমবার তাঁকে আবার শূন্য করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁকে অধীর খোকাবাবু বলে সম্বোধন করেন। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাইরন বিশ্বাস জিতেছিল। আজ, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন অভিষেকের হাত ধরেই। বাইরন জেতার পর অধীর চৌধুরী চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছিলেন, ‘তৃণমূলকে꧟ বধিবে যে, মুর্শিদাবাদে বাড়িছে সে।’ এবার বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠি𝕴ক কী চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছেন? এদিকে কয়েকদিন আগে অধীর চৌধুরী চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছিলেন, হিম্মত থাকলে বহরমপুর থেকে লড়ুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাকে হারাতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। সেদিন কোনও কথা বলেননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বাইরন বিশ্বাস তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আর তারপরই অধীরকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বহরমপুর থেকে তিনি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন। এটাই অধীরের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
ঠিক কী বলেছেন অভিষেক? অন্যদিকে সাগরদিঘি পরাজয় তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বড় সেটব্যাক ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং রিপোর্ট তলব করেছিলেন। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্পষ্টভাষায় বলেন, ‘দল যদি চায় আমি বহরমপুর থেকে লোকসভায় লড়ব। আমাদের তো হাইকম্যান্ড ভিত্তিক দল নয়। সবটাই আলোচনা করে ঠিক হয়। দল যদি দার্জিলিংয়ে বলে তাই লড়ব। বহরমপুরে ⭕বললে তাই লড়ব। যদি বলে ঘাটাল থেকে লড়তে হবে তাই লড়ব।’ সুতরাং একটা সরাসরি ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন।