জেলা সফরে গিয়ে একের পর পঞ্চায়েত প্রধানকে সরিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কাঁথি থেকে শুরু হয়ে তা দেখা গেল রানাঘাটেও। এখন খড়্গপুর পুরসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের বোর্ডের মেয়াদের একবছরও পূর্ণ হয়নি। তার মধ্যেই পুরপ্রধান পদ থেকে প্রদীপ সরকারে সরিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। আজ, সোমবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কো–অর্ডিনেটর অজিত মাইতি সাংবাদিক বৈঠক করে এই অপসারণের কথাꦬ ঘোষণা করেছেন।
ঠিক কী ঘটেছে খড়গপুরে? বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে পূর্ব মেদিনীপুর এবং নদিয়ার দুই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার খড়্গপুরের পুরপ্রধানকে সরিয়ে দেওয়া হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়–অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বলেই সূত্রের খবর। এই সিদ্ধান্ত বাকিদের চাপে রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতা বলেন, ‘পদ পেয়ে কিছু নেতা একক সিদ্ধান্ত নিয়ে চলছেন। তাতে দলের বদনাম হচ্ছে এবং অন্যান্য নেতা–কর্মীদের সমস্যা হচ্ছে। এইღ মনোভাব দলের না পসন্দ।’
কেন এমন ঘটনা ঘটল? সূত্রের খবর, প্রদীপ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে চেয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্বদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ২০ জন কাউন্সিলর। খড়্গপুর পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতে জয় পেয়েছিল তৃণম🔯ূল কংগ্রেস। পরে একজন করꦡে সিপিআই, বিজেপি এবং নির্দল কাউন্সিলার এবং দু’জন কংগ্রেস কাউন্সিলার যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সেখানে ২৫ জন কাউন্সিলারের মধ্যে ২০ জন প্রদীপের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে চান। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল।