পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অভিনব পদক্ষেপ করল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে ঘটনাস্থল সেই নন্দীগ্রাম। যেখান থেকে জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই আজ, রবিবার শুরু হচ্ছে ‘চাটাই বৈঠক’। এখানের দুটি ব্লকে আজ বৈঠক শুরু করছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের ন♎েতা–কর্মীরা সরাসরি গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেখানে চাটাই পেতে বসে জনসংযোগ করবেন তাঁরা। তবে এই কর্মসূচিতে কলকাতা থেকেও যাবেন দলের শীর্ষ নেতারা বলে খবর।
কেন এমন পদক্ষেপ করা হল? একুশের নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারী এখান থেকে জিতলেও সেটা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। যার জেরে মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। আবার বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই সেখানে সাফল্য পেতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। এই কারণে নন্দীগ্রাম এক এবং দুই ব্লকের প্রতিট🐷ি মানুষের বাড়ি গিয়ে তাদের কথা শুনবেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। এই কর্মসূচি বেশ কিছুদিন ধরে চলবে। মানুষের সমস্যা শুনে তার সমাধান এখান থেকেই করা হবে। এমনকী সর𝐆কারি সমস্ত প্রকল্প সেখানে পৌঁছেছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।
ঠিক কী বক্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের? এই ‘চাটাই বৈঠক’ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য🅠 সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘এটা আলাদা কিছু নয়। সাড়া বাংলা জুড়ে সারা বছর তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী⛎রা মানুষের সঙ্গে এভাবেই থাকেন। বিশেষ পদক্ষেপ হিসাবে গ্রামে চলো কর্মসূচি করছেন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। নন্দীগ্রামেও রাজ্য যে প্রোগ্রাম দেবে, জেলা যে প্রোগ্রাম দেবে সেগুল𝕴ি হবে। পাশাপাশি এক নম্বর এবং দুই নম্বর ব্লকে গ্রামবাসীদের সঙ্গে চাটাই পেতে বৈঠকও হবে। মানুষকে কেন্দ্রের খারাপ নীতি, কীভাবে কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে এবং কীভাবে জিনিসের দাম বাড়ছে তা ✨বোঝানো হবে’।
ঠিক কী বলছে বিজেপি? এই বিষয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ভাল কথা। রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক লড়াইয়ের জন্য চাটাইয়ে বসবে। বাড়ি বাড়ি বৈঠক করবেন। নন্দীগ্রাꦰমের পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। যত নির্বাচন এগিয়ে আসবে, এখন চাটাইয়ের মধ্যে রয়েছেন, পরে মশারির মধ্যে ঢুকবে। তারপরে ঘরবন্দি হয়ে যাবে।’♔