আগামী ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তাꦉ শেষ করেই লোকসভা নির্বাচনের জন্য ঝাঁপাবে ঘাসফুল শিবিরের নেতারা। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনে কাদের প্রার্থী করা হতে পারে তার একটা সম্ভাব্য তালিকা তৈরি হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে পরে তা পরিবর্তন করা হতে পারে। ইতিমধ্যেই মন্ত্রীর পদ খুইয়েছেন সৌমেন মহাপাত্র। হারিয়েছেন সরকারি পদও। তাই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তমলুক কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তাঁকে করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত যদি চূড়ান্ত হয় তাহলে অধিকারী পরিবারের ছেলে দিব্যেন্দু টিকিট পাবেন না।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছ꧙ে? সৌমেন মহাপাত্র টানা ১১ বছর রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। নিজের বিধানসভা কেন্দ্র তমলুকের জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সরকারি চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। যাআ এখন আর নেই। থাকার মধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের হাতে রয়েছে পুর্ব মেদিনীপুরের অর্ধেক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদ। এছাড়া তাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে। বিদ্যাও রয়েছে তাঁর। সুন্দর কথা বলেন যুক্তি দিয়ে। তাই তাঁকে প্রার্থী করার কথা ভাবা হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখানে এসে চিত্তরঞ্জন মাইতির সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তিনি কোনও সরকারি পদে আছেন 𝐆কি না তাও জানতে চেয়েছিলেন। তারপরই পদোন্নতি পেয়ে তিনি তমলুকের জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির নতুন চেয়ারম্যান হন। তাঁর নাম ঘোষণা করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। তখন সরে যেতে হয় সৌমেন মহাপাত্রকে। তাহলে কি ‘এক ব্যক্তি এক ♔পদ’ চালু হয়ে গেল? উঠছে প্রশ্ন।