নন্দীগ্রামের সমবায় ভোটে মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। সেখানে সমবায়ের দ🍬খল নিয়েছে বিজেপি। কিন্তু সিঙ্গুরের সমবায় এবার গেল তৃণমূলের দখলে। বামেরা রাজ্য থেকে চলে গেলেও এই সমবায়তে থেকে গিয়েছিলেন বামেরা। কিন্তু সেখান থেকেও এবার বিদায় নিল বামেরা। অন্তত এই একটি জায়গায় বামেরা তাদের নিভতে বসা প্রদীপটা জ্বালিয়ে রেখেছিল। সেটাও গেল এবার। এবার সিঙ্গুরের সেই সমবায় সমিতির দখল নিল তৃণমূল।
এবার গোটা রাজ্য জুড়ে লোকসভা ভোটে ভালো ফল করেছে তৃণমূল। তবে রবিবার নন্দীগ্রামের একটি সমবায় ভোটে হেরে গিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু মান রক্ষা হল সিঙ্গুরে। দীর্ঘদিন ধরে যে সমবায় ছিল বামেদের দখলে সেই সমবায় 🌌এবার চলে গেল ঘাসফুলের হাতে। গত ৩৫ বছর ধরে এই বোর্ড ছিল বামেদে𓆏র দখলে। সেটাই এবার চলে গেল তৃণমূলের কাছে।
সিঙ্গুর বিধানসভার নসীবপুর এলাকায় গোবিন্দপুর সমবায় সমিতি ভোট ছিল। সেখানে কার্যত সবুজ সুনামি। সেই সুনামিতে কোথায় যে ভেসে গেলেন বামেরা। ফল বের হতে দেখা গেল ৪৫-০ আসনে জয়ী তৃণমূল। বꦺিজেপি সমর্থিত ১২জন প্রতিনিধি লড꧙়াই করেছেন। কিন্তু দাগ কাটতে পারেননি।
এদিকে এই ভোটকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে উত্তেজনা ছিল এলাকায়। এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। অশান্তি শুরু হতেই পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। এদিন তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মোল্লা সিমলা হাই মাদ্রাসা, গোবিন্দপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের দিয়ারা সমবায় শাখা ও ভাণ্ডারদহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ভোটদান পর্ব হয়েছিল। এই ভোটদানকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্য়ে উৎ🦹সাহ প্রবল ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এখানে বামেরা ।
তৃণমূলের দাবি এখানে বাম ও বিজেপি একটি অলি💙খিত জোট করেছিল। কিন্তু তারপরেও জিততে পারেনি বামেরা।
তবে বাম জমানায় ও তার পরবর্তী সময়তেও সিঙ্গুরে ভালোই প্রভাব ছিল বামেদের। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু হতে থাকে। এদিকে এর আগেও ওই সমবায়তে আস্থা ভোটে বামেদের সরানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত সেই সমবায় থেকে সরতে বাধ্য হলেন বামেরা। সমবায় সমিতির দখল নিল তৃণমূল। উড়ল সবুজ পতাকা। সবুজ আবীরে ছেয়ে গেল চারদিক। নন্দীগ্রামে পরাজিত হলেও অন্তত সিঙ্গুর ফের মান রক্ষা করল তৃণমূলের। স💃েই সঙ্গে আরও দুর্বল হল বামেরা। ১৯৮৯ সালের পর এই প্ꦬরথম এটা বামেদের হাতছাড়া হল।