নগরায়ন এবং নির্মাণ কাজের ফলে প্রতিনিয়ত নির্মমভাবে কাটা হচ্ছে গাছ। তারফলে বাড়ছে দূষণ। তারওপর মাত্রতিক্ত প্লাস্টিকের ব্যবহরের ফলেও বাড়ছে দূষণ। তাই দূষণমুক্ত পৃথিবী গড়ার বার্তা দিতে পাহাড় থেকে সাগরের উদ্দেশ্যে হাঁটছেন এক বৃদ্ধ। সাধারণত দূষণমুক্ত পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে এর আগেও অনেক পরিবেশপ্রেমীকে পায়ে হেঁটে বহুদূর যাত্রা করতে দেখা গিয়েছে। তবে বছর ৬৫–এর সঞ্জীব দাসের⭕ যাত্রা একেবারে অভিনব। দার্জিলিং ম্যাল থেকে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে তিনি পিছন দিক দিജয়ে পায়ে হেঁটে আসছেন। তাঁর লক্ষ্য পূরণ হওয়ার পথে বাকি আর মাত্র কয়েক কিলোমিটার। তাহলেই তিনি গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাবেন। বৃদ্ধ বয়সেও সবুজ পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে সঞ্জীব বাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: শুধু দূষণের জেরেই আড়াই লাখ মৃত্যু ইউরোপে! কীভাবে সতর্ক থাক✃তেಌ বলছেন বিজ্ঞানীরা
জানা গিয়েছে, সঞ্জীব বাবু এক সময় আইটিসিতে চাকরি করতেন। ৬০ বছর বয়সে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরেই মানুষের জন্য কিছু কাজ করার চিন্তা ভাবনা আসে তাঁর মাথায়। এরপরে পরিবেশ বাঁচানোর চিন্তাভাবনা শুরু করেন তিনি। আর সেই লক্ষ্যেই তিনি বদ্ধপরিকর হন। ২০২১ সালে গঙ্গা দূষণ নিয়ে মানুষকে বার্তা দিতে উত্তরাখণ্ডের গঙ্গার উৎপত্তিস্থল গোমুখ গঙ্গোত্রী থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত ২০১০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে যাত্রা করেন। তবে সে ছিল সম্মুখ দিকে স্বাভাবিক হাঁটা। সেই যাত্রায় তাঁর সময় লেগেছিল ৯৮ দিন। কিন্তু, মানুষকে সচেতন করা লক্ষ্য হলেও সেই সময় তিনি খুব বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারেননি অনুভব করার পরেই ঠিক করেছিলেন যে দার্জিলিং থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত আবার পায়ে হেঁটে যাত্রা করবেন। তবে এবার সোজাভাবে নয় পিছন দিক দিয়ে হেঁটেই ৯৩০ কিলোমিটার পথ যাত্রা। সেই মতো তিনি যাত্রা শুরু করেন। অবাস্তব মনে হলেও সত্যি। আজ তাঁর সেই যাত🌺্রা এখন শেষের পথে। আজ সকাল ১০টা নাগাদ তিনি নিশ্চিন্তপুরে পৌঁছে যান। লক্ষ্য মাত্রায় পৌছাতে আর মাত্র ৩৭ কিলোমিটার বাকি। এরপরে কাকদ্বীপ আট নম্বর ভেসেল ঘাট মাত্র ১২ কিলোমিটার। তারপর ভেসেল পেরিয়ে কচুবেড়িয়া থেকে কপিলমুনি মন্দির মাত্র ২৫ কিলোমিটার পথ।