বন দফতর গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল পাচারের। পাচার রুখতে তখনই আঁটোসাঁটো করা হয় নিরাপত্তা ব্য💝বস্থা। তারপর অতন্দ্র প্রহরীর মতো অপেক্ষা করতে থাকেন বন দফতরের অফিসাররা। সীমান্ত এলাকায় এমন পাচারের খবর প্রায়ই পেয়ে থাকেন বন দফতরের অফিসাররা। তবে এবারের পরিস্থিতি অন্যবারের তুলনায় আলাদা। কারণ এবার কোনও ধাতু পাচার হচ্ছে না। বরং এবার পাচার হচ্ছে সম্পূর্ণ বনজ প্রাণী। আর সেই খবর পেয়েই নড়েচড়ে বসেন বন দফতরের অফিসাররা। দ্রুত স𝕴েখানে বাহিনী পৌঁছে দেওয়া হয়। যাতে কোনওভাবেই পাচার বাস্তবায়িত না হয়। তৈরি হয় প্ল্যান পাচার রোখার।
বন দফতরের এক অফিসার যখন এই🍒 খবর পেয়েছিলেন তখন উদ্ধারকারী টিমকে বলেছিলেন, খুব সতর্ক থাকতে হবে। এটা কিন্তু বড় ঘটনা। নট সো ইজি। পাল্টা বন দফতরের টিম জবাব দিয়েছিলেন, তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এমনই কথোপকথন দু’পক্ষের মধ্যে হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। অন্যান্য জিনিসপত্র পাচার নতুন কিছু নয়। সোনা, রূপো, মাদক পাচার হওয়ার অভিযোগ ওঠে। আবার তা ধরাও পড়ে। বারেবারে এমন সব পাচার আটকানো গিয়েছে। এবার কিন্তু পাচারের বস্তু কচ্ছপ। প্রায় দেড় হাজার বিরল প্রজাতির কচ্ছপ পাচার হচ্ছিল। যা পরিকল্পনা করে ♌উদ্ধার করল বন দফতর।
এদিকে এই পাচারের তথ্যের ভিত্তিতে বনগাঁর গোপালনগর থানা এলাকায় তল্লাশি চালায়🎉 বন দফতরের অফিসাররা। তখনই তাঁদের চোখে পড়ে যায় প্রায় ৬৪টি চটের ব্যাগ। এই চটের ব্যাগগুলিতেই ছিল বিরল প্রজাতির কচ্ছপ। এতগুলি ব্যাগে কি কচ্ছপ রয়েছে? সদেহ হয় বন দফতরের অফিসারদের। একটা–দুটো ব্যাগে থাকতে পারে। ৬৪টি ব্যাগ! সন্দেহ হতেই ভিতরে কী আছে তা জানতে ব্যাগগুলি খোলেন বন দফতরের অফিসাররা। তখনই চক্ষু চড়🌼কগাছ হয় তাঁদের। কারণ প্রায় দেড় হাজারের মতো কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে ওই ৬৪টি চটের ব্যাগ থেকে। এমন ঘটনা আগে এই অফিসারদের জীবনে ঘটেনি।
আরও পড়ুন: নারীদের সম্মান রক্ষার্থে বিল উত্থাপন করলেন ডেরেক, রয়ে🔯ছে কড়া ব্যবস্থার কথা
অন্যদিকে বন দফতর সূত্রে খবর, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে এই সামুদ্রিক কচ্ছপগুলি নিয়ে আসা হয়েছিল পাচারের উদ্দেশে। বাংলাদেশে পাচারের জন্য সব ব্যবস্থা করেছিল এই পাচারকারীরা। কিন্তু গোপন সূত্রে গোটা ঘটনাটাই সামনে চলে আসে। তবে এই পাচারের পিছনে আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের হাত রয়েছে। ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বনগাঁ আদালতে তোলা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করেই মাথাদের নাগাল প♔েতে চাইছে বন দফতর। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িয়ে রয়েছে। সেটা জানতে চায় বন দফতর। মূল মাথাকে ধরা গেলে গোটা কারবার সামনে চলে আসবে। তবে শুধু কচ্🍨ছপ নয়, একটি কাকাতুয়া জাতীয় পাখিও উদ্ধার হয়েছে বলে খবর।