ডিসেম্বর মাস পড়ে গিয়েছে। পারদ পতনও অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে পিকনিকের আমেজ জমজমাট। তার মধ্যে আবার রয়েছে বড়দিন থেকে নিউ ইয়ার। ভ্রমণপিপাসু মানুষ এইসব দিনে পিকনিকে মেতে ওঠে𝔍ন। একদিকে পিঠে পুলি উৎসব পালন হয়, অন্যদিকে বাঙালি পিকনিকে মেতে উঠতে দিঘাকেই বেছে নেন। কাছাকাছির মধ্যে সমুদ্র সৈকতে ঝাউবনের ছায়ায় পিকনিকের আনন্দ উপভোগ করেন। কিন্তু এবার সেখানে কড়াকড়ি করছে দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ।
কেমন কড়াকড়ি হতে চলেছে? বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। এখানের আধিকারিক মানসকুমার মণ্ডল সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘দিঘাতে প্লাস্টিক এবং থার্মোকলের ব্যবহার বন্ধ। এখন পিকনিকের মরশুম। তাই পর্যটকরা যাতে প্লাস্টিক ব্যবহার করতে না পারে সেদিকে বিဣশেষ নজরদারি চালানো হবে। এরপরও যদি কাউকে প্লাস্টিক বা থার্মোকল ব্যবহার করতে দেখা যায় সেক্ষেত্রে ৫০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে।’
আর কী জানা যাচ্ছে? এই বিষয়টি নি☂য়ে দিঘাতে ম্যারাথন প্রচার চালানো হচ্ছে। কেউ যাতে থার্মোকল এবং প্লাস্টিক ব্যবহার না করে তাই মাইকিং করা হচ্ছে। এবার গরমের ছুটিতেও মানুষ ভিড় করেছিল দিঘায়। এখন চূড়ান্ত মরশℱুম। তাই দিঘা–পুরী–শংকরপুর এলাকায় মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। আর ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি বড় ছুটির সময়। তখন আরও পর্যটক এখানে আসতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাতে খুশি পর্যটন ব্যবস🌱ায়ীরা।
কী বলছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা? এখন করোনাভাইরাসের দাপট নেই। তাই ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, চলতি ডিসেম্বর এবং ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে রেকর্ড ভিড় হবে দিঘাতে। সেখানে সৈকতে 🐈ভিড় সামলে পরিবেশ রক্ষা করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কাছে। ইতিমধ্যেই দিঘার খোলনলচে পাল্টে ফেলা হয়েছে। রাজ্য সরকারের নেতৃত্বে সেখানে গড়ে উঠেছে মেরিন ড্রাইভ। জগন্নাথ মন্দির তৈরি হচ্ছে সেখানে। এমনকী আন্ডারওয়াটার পার্কও তৈরি হবে দিঘাতেই।