কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সমালোচনায় সরব হয়েছে তৃণমূল। বীর চিলা রায়ের ৫১২ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে নিশির প্রামাণিক বলেন, ‘কোচবিহারবাসীর মুক্তির জন্য আমি লড়াই করে যাব।’ তাঁর মন্তব্যকে ‘উস্কানিমূলক’ মন্তব্য বলে সমালোচনা করেছে তৃণমূল। তাঁর বিরুদ্ধে শান্তিভঙ্গের অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। গতকাল বুধবার কোচবিহারে বীর চিলা রায়ের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে তাঁর মূর্তি তৈরি করার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, এ দিনই আলাদা কোচবিহার রাজ্যের দাবি তোলেন বিজেপি নেতারা। শীতলকুচি কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক চন্দ্র বর্মন আলাদা কোচবিহার রাজ্যের দাবি জানান। শুধু চন্দ্র বর্মণই নয়, একাধিক বিজেপি নেতা গতকাল কোচবিহারকে আলাদা রাজ্য করার দাবি জানিয়েছেন। তুফানগঞ্জের বিজেপি নেতা তথা বিজেপির জেলা সভাপতি মালতি রাভাও কোচবিহারকে আলাদা রাজ্য করার পাশাপাশি পাঠ্যপুস্তকে বীর চিলা রায়কে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তাদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে নিশীথ প্রামাণিক। তিনি বলেন, ‘বৃহত্তর কোচবিহারবাসীর মুক্তির জন্য অনন্ত মহারাজের দেখানো পথে আমি শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।’ পাশাপাশি কোচবিহারে উন্নয়নের জন্য এমপি তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করেছেন নিশীথ প্রামানিক।অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের এই দাবির পরেই সমালোচনায় সরব হয়েছে তৃণমূল। প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নিশীথ প্রামাণিকের এই মন্তব্যকে উস্কানিমূলক মন্তব্য বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিজেপি শান্তিভঙ্গের চেষ্টা করছে। তিনি যেভাবে উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন তাতে কোনওদিনই নিশিথ প্রামাণিককে নির্বাচিত করবেন না কোচবিহারের মানুষ। কোচবিহারের মানুষ তাঁকে মুক্তি দেবে।’