কার্যত দিশেহারা বললেও খুব কম বলা হয়। গোটা রাজ্য জুড়ে সিপিএমের পরিস্থিতি দেখে অনেকেই এমন কথাই বলছেন। সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন চলছে ডানকুনিতে। সেখানে সিপিএমের একাধ🤪িক নেতা নেত্রী উপস্থিত রয়েছে। দলকে চাঙা করতে চেষ্෴টার কোনও কসুর করছেন না তাঁরা।
এবার সিপিএমের সিনিয়র নেতা ও পলিটব্যুরো কো অর্ডিনেটর প্রকাশ কারাট শনিবার বাংলা♒র সিপিএমকে ননা পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। দলের যুব শক্তির সংখ্য়া আরও বৃদ্ধি করার জন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প💫্রতিবেদন অনুসারে।
শনিবার থেকে হুগলির ডানকুনিতে সিপিএমের চারদিনের সম্মেলন শুরু হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতায় থাকাকালীন সিপিএমের অন্দরে যুব-ফোর্🔥স ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পরে ক্রমেই নুয়ে পড়তে শুরু করে সিপিএম। এদিকে উদ্বোধনী ভাষণে প্রকাশ কারাট বলেন, যুব সম্প্রদায়ের উপর বেশি ফোকাস করুন।
এদিকে সামনেই ২০২৬ এর বিধানসভা ভোট। তার আগে কারাট দলকে আরও সংগঠি🐼ত ও ম𒊎জবুত করার উপরেও জোর দেন।
এদিকে পরিসংখ্য়ান বলছে ২০১৬ সালে সিপিএমের ভোটের শতাংশ ছিল ১৯.৭ শতাংশ। ২০১১ সালে এই ভোট শেয়ার ছিল ৩০ শতাংশ। যত দিন যাচ্ছে ততই সিপিএম যেন শূ্ন্য থেকে মাইনাসের দিকে পিছিয়ে যাচ্ছে। এমনটাই মনে করছেন অনেকে। সেক্ষেত্রে সিপিএমকে কীভাবে অন্তত একটু এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেটা নিয়েই আলোচনা হচ্ছে এবারের রাজ্য সম্মেলনে𝄹। তবে চটজলদি যে কোনও সমাধান, কোনও চাঙা হওয়ার ওষুধ সিপিএমের কাছে নেই সেটা বলাই বাহুল্য।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ৩৪ বছর ধরে ক্ষমতায় ছিল সিপিএম। কিন্তু সেই সিপিএম আজ শূন্য। বিধানসভায় সিপিএমের একজন প্রতিনিধিও নেই। পঞ্চায়েতে হাতে গোনা কয়েকজন থাকলেও তাঁরা যে কবে অন্য দলে ভিড়ে যাবেন সেটা বোঝা যাচ্ছে না। পাড়ায় পাড়ায় দাপট কমেছে সিপিএমের। যে সিপিএমের চোখ রাঙানিতে গুটিয়ে থাকত বিরোধীরা সেই সিপিএম 👍এখন বিরোধীদ🌟ের গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলে।
কিন্তু কেন সিপিএমের এই বেহাল দশা হল?
এনিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে সিপিএমের অন্দরে। অনিয়মের অভিযোগে একাধ💙িক সিপিএম নেতাকে দল থেকে বের করা হয়েছে। দলের অন্দরে নতুন কিছু ঝকঝকে, ভরসা করার মতো মুখ এসেছে। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু তবুও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সিপিএম। গ্রামে গ্রামে ফিকে হয়েছে লাল পতাকা। তবে যুবকদের হাত ধরেই যে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে সিপিএম এবারের সম্মেলনে তার ইঙ্গিত মিলেছে।