ব্যারাকপুরে পরপর বেশ কয়েকটি বাড়িতে 💎সর্বস্ব লুটের ঘটনা ঘটেছে। আর তাতে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে ব্যারাকপুরের পুলিশ কর্তারা। কেমন করে সেটা হচ্ছে? তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আর তদন্তে নামতেই হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। কাজের লোক বা পরিচারিকা পরিচয় দিয়ে দিনেরবেলায় বাড়ির ভিতর ঢুকে সর্বস্ব লুট করে পালাচ্ছে দুই মহিলা বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে এখন গোটা ব্যারাকপুরে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
ঠিক কী ঘটছে ব্যারাকপুরে? ওই মহিলাদের প্রধান টার্গেট সেই বাড়ি বা ফ্ল্যাটগুলি, যেখানে শুধুমাত্র বয়স্ক মানুষজন থাকেন। ব্যারাকপুর শহরে সেন্ট্রাল রোডের আনন্দপুরী এলাকায় পরপর দু’টি বাড়িতে কয়েক মাসের ব্যবধানে লুটপাটের ঘটনায় ঘুম উড়ে গিয়েছে কমিশনারেটের কর্তাদের। শুধুমাত্র দু’দিন রেইকি করে যেভাবে ‘অপারেশন’ সফল করছে এই মহিলারা সেটা কপালে ভাঁজ ফেলেছে পুলিশের। কাজ খোঁজার নাম করে ওই মহিলারা বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়ছে। তার কিছুক্ষণ পর সর্বস্ব লু♒ট করে চম্পট দিচ্ছে তারা। এখন তাদের নাগাল পাচ্ছে না পুলিশও বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
পুলিশ কী তথ্য পাচ্ছে? ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে খবর, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। প্রয়োজꦓনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। দুই মহিলা স্থানীয় একটি আবাসনে অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষিকা বন্দনা মুখোপাধ্যায়ের 💖মুখে বিশেষ রাসায়নিক স্প্রে করে সর্বস্ব লুট করে। আবার ꦐওই দুই মহিলা আনন্দপুরী সেন্ট্রাল রোডে রাখালচন্দ্র নাথ নামে❀ এক প্রবীণ ব্যক্তির বাড়িতে ‘অপারেশন’ চালায়। রাখালবাবু বাড়িতে একাই থাকেন। রাখালবাবুকেও দুই মহিলা ‘কাজের লোক’ পরিচয় দিয়ে ঘরে ঢুকে পড়ে। প্রাথমিক কিছু কথা বলার পর ঘর পরিষ্কার করার ছলে গোটা ঘরে সাবান জল ছড়িয়ে দেয়। আর রাখালবাবুকে বিছানায় বসে থাকতে বলেন। অন্যজন ততক্ষণে আলমারির খুলে নগদ কয়েক হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় বলে। আর দু’জনে চম্পট দেয়।
কী বলছেন এলাকার কাউন্সিলর? এই ঘটনা নিয়ে হইচই পড়ে যেতেই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর তথা ব্যারাকপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রভাত ঘোষ বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে অনেক ফ্ল্যাটেই বয়স্ক মানুষ থাকেন। পাড়া কালচার চলে গিয়ে এই অঞ্চলে ফ্যাট কালচার তৈরি হওয়ায় সমস্যা বেড়েছে। পুলিশকে বলা হয়েছে। অপরিচিত কাউকে ঘরের ভিতর না ঢোকানোর জন্য পরামর্শ💃 দেওয়া হচ্ছে। দু’জন মহিলা যদি এরকম কাজ করে, তাহলে বুঝতে হবে এদের পিছনে বড় কোনও গ্যাং রয়েছে।’