দুজন মহিলা মিলে জিভ কেটে নিল এক যুবকের। তন্ত্র সাধনার জন্যই নাকি এমন কাজ করা হয়েছে। এরকমই অভিযোগ যুবকের পরিবারের। সোমবার রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল শান্তিনিকেতনের ফুল ডাঙ্গা গ্রামের আদিবাসী পাড়ায়। এই ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পরে এক মহিলাকে আটক করেছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। তবে এই ঘটনার পিছনে সত্যি সত্যিই তন্ত্র সাধনা জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত হয় সোমবার রাতে। আক্রান্ত যুবকের নাম শমাই সোরেন (২০)। সোমবার রাতে পাকুর টুডু নামে এক প্রৌড়ার বাড়িতে মদ্যপান করছিল সোরেন। তার সঙ্গে মুকুল নামে এক বন্ধুও ছিল। অভিযোগ, মদ্যপান করার সময় কোনও একটি বিষয়কে নিয়ে পকুর সঙ্গে বচসা বাধে সোরেনের। সেই সময় শৌচালয় যায় মুকুল। তিনি ফিরে এসে দেখেন পাকু টুডু এবং আর একজন মহিলা মিলে সোরেনের জীভ কাটছে। কিন্তু, তিনি বাধা দেওয়ার আগে শমাই সোরেনের জিভ কেটে ফেলে ওই দুই মহিলা। এরপরে রক্তাক্ত অবস্থায় সময় সোরেনকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।কিন্তু সেখানে চিকিৎসা না হওয়ায় তাকে পাঠানো হয় বর্ধমান হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে রেফার করা হয়। বর্তমানে সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।এই ঘটনায় পাকু টুডু বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তার পরিবারের লোকেরা। অভিযোগ, তন্ত্র সাধনা করেন পাকু। সেই কারণেই তার জিভ কেটে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তার পরিবারের লোকেরা।অন্যদিকে, এই অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন পাকু টুডু। তার দাবি , তার বাড়িতে মদ্যপান করতে এসে তাকে গালিগালাজ করছিল সোরেন। তা নিয়েই তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। তবে জীব কাটার কথা সে অস্বীকার করেছে। এর পিছনে রহস্য কি তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।