আড়াই বছর আগে খুন হয়েছিলেন ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। পুজোর মধ্যেই শুক্রবার রাতে মৃত্যু হল প্রয়াত কংগ্রেস কাউন্সিলের স্ত্রী পূর্ণিমার। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকেই অচৈতন্য অবস্থায় পূর্ণিমাকে উদ্ধার করা হয়। অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন। তড়িঘড়ি তাঁকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তবে ঠিক কী কারণে পূর্ণিমার মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। তাঁর সꦅন্তানরা বাড়ির বাইরে ছিলেন। তাঁরা এসেই দেখতে পান যে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছেন মা। পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো দাবি করেছেন যে সকালেও পূর্ণিমাকে দেখে অস্বাভাবিক লাগেনি। সুস্থ-স্বাভাবিকই মনে হচ্ছিল। সন্ধ্যায় সুস্থ ছিলেন বলে শুনেছেন। ফলে কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের পরই বোঝা যাবে যে ঠিক কী হয়েছিল।
‘চিকিৎসকও কনফিউজড হয়ে পড়েছেন’
পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘সন্ধ্যা পর্যন্ত খুব ✃ভালো ছিল (পূর্ণিমা)। ওর ছেলেমেয়েরা বাইরে বেড়াতে গিয়েছিল। আসার পরে দেখছে যে মারা গিয়েছে। কীভাবে মারা গিয়েছে, (সেটা স্পষ্ট নয়)। (যা হয়েছে), খুব কম সময়ের মধ্যে হয়েছে। ডাক্তারবাবু দেখেছেন। তিনি বলেছেন যে যেহেতু মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল, তাই পোস্টমর্টেম করতে হবে। পোস্টমর্টেমের জন্য দেহ নিয়ে যেতে হবে। তারপরই বিষয়টা বোঝা যাবে।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘(কীভাবে পূর্ণিমার মৃত্যু হল, তা নিয়ে) চিকিৎসকও কনফিউজড হয়ে পড়েছেন।’
পূর্ণিমার মৃত্যু ঘিরে রহস্য তৈরি
পূর্ণিমার মৃত্যুর ঘটনা অস্বাভাবিক কিনা, সে বিষয়ে এখন কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুরুলিয়ার অন্যান্য কংগ্🅺রেস নেতারাও। পুলিশের তরফেও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে স্বামী খুন হওয়ার আড়াই বছর পরেই♏ পূর্ণিমার মৃত্যু ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে।
২০২২ সালের মার্চে খুন করা হয়েছিল তপনকে
২০২২ সালের ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় ঝালদায় তপনকে খুন করা হয়েছিল। একেবারে কাছ থেকে তাঁকে গুলি করেছিল দুষ্কৃতীরা। প্রাথমিকভাবে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) করা হয়েচিল। পরবর্তীকালে কলকাতা হাইকোর্টের নির্♏দেশে মামলার তদন্তভার গিয়েছিল সিবিআইয়ের হাতে। গ্রেফতার করা হয়েছিল তপনের ভাইপো। সত্যবান প্রামাণিক নাম🐈ে একজনকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে সংশোধনাগারের থাকার সময় অসুস্থ হয়ে মৃত্য়ু হয়েছিল অন্যতম অভিযুক্ত সত্যবানের। গ্রেফতার করা হয়েছিল আরও কয়েকজনকে। আর তপনের মৃত্যুর পরে সক্রিয় রাজনীতিতে এসেছিলেন পূর্ণিমা।